শুক্রবারের বিধানসভায় ছিল রাজনৈতিক সৌজন্যের সাক্ষী। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডাকে সাড়া দিয়ে তাঁর ঘরে গিয়েছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী সব চার বিজেপি বিধায়ক। যা গত দেড় বছরে নজির বিহীন। এর ২৪ ঘন্টার মধ্যেই অবশ্য সৌজন্য শিথিল। কেন হঠাৎ বিরোধী বিধায়কদের ডাকলেন মমতা তা বলতে গিয়ে বিস্ফোরক শুভেন্দু অধিকারী। পাশাপাশি তাঁর চ্যালেঞ্জ, 'গণতান্ত্রিক পথেই ওনাকে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী করে ছাড়ব।'
শনিবার ঠাকুরনগরে মতুয়াদের একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন বিরোধী দলনেতা। ছিলেন সাংসদ তথা মতুয়া সঙ্ঘাধিপতি শান্তনু ঠাকুরও। সেখানের শুভেন্দু অধিকারী বলেন, 'মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আমি হারিয়েছি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আমি গণতান্ত্রিকভাবেF পশ্চিমবঙ্গ থেকে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী করব। শুনে রাখুন। আমি সংসদীয় ব্যবস্থার প্রোটোকলও জানি, বিরোধিতাও জানি… সবটা জানি। ওনারা জানেন না। সেই কারণেই দুই দিন আগে মুখ্যমন্ত্রী নেতাজি ইনডোরে বলেছেন, এই রাজ্যের বিধানসভার বিরোধী দলনেতা চিঠি পাঠান টাকা আটকানোর জন্য। তাঁর নাম মুখে আনতে ঘৃণা হয়।'
শুক্রবার বিধানসভায় তাঁকে মুখ্যমন্ত্রীর ঘরে ডেকে পাঠানো নিয়ে শুভেন্দুর ব্যাখ্যা, 'ওনার নিজের ফেলা থুতু কাল চেটে বলেছেন, স্নেহের ভাই। তাও ছিলাম, পাস্ট টেন্সে। এখন নেই।'
গুঞ্জন ছড়িয়েছে, দিদি মমতাকে ভাই শুভেন্দু প্রণাম করেছেন। যা নিয়ে বিজেপির সর্বভারতীয় সহসভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেছেন, 'ওঁদের পুরনো সম্পর্ক। অনেকে কালীঘাটে প্রণাম করে আসেন। উনি ওখানে করেছেন।' দলের প্রাক্তন রাজ্য সভাপতির মন্তব্যে টিপ্পনি কাটতে নারাজ বিরোধী দলনেতা। উল্টে গোটাটায় সংবাদ মাধ্যমের উপর দায় চাপান তিনি। বলেন, 'দিলীপদা খুব ভাল করেই বলেছেন। আগে ছবি দেখাবেন, তারপর বলবেন। যে কেউ বয়সে বড় হলে, তাঁকে প্রণাম করা যায়। বয়সে যে ছোট হয়, সে বড়র প্রণাম নিতে পারে না। কিন্তু কোনও কোনও সংবাদমাধ্যম যা করছে, তার সঙ্গে বাস্তবের কোনও ভিত্তি নেই।'