'বদলা নয়, বদল চাই', ক্ষমতায় এসে নির্দেশ ছিল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। কিন্তু, বাস্তবে ঘটেছে ঠিক এর উল্টো। এমনটাই দাবি করেছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর। মমতা সরকার রাষ্ট্রীয় ক্ষমতার অপব্যবহারের সব পুরনো রেকর্ড ভেঙে দিয়েছেন বলে দাবি নন্দীগ্রামের বিধায়কের। পাশাপাশি তাঁর হুঁশিয়ারি, 'খুব শিগগিরি উনি (মুখ্যমন্ত্রী) ও ওনার কর্মচারীরা জনগণের বিচারের সম্মুখীন হবেন।'
গত দেড় বছরে মমতা সরকারের আমলে বিরোধী দলনেতা, বিরোধী দলের কর্মীরা কী কী ধরণের অত্যাচারের মুখোমুখি হয়েছেন, তা এ দিন প্রচার পুস্তিকার মাধ্যমে প্রকাশ করেছে শুভেন্দু অধিকারী। সেখানেই রয়েছে পুঙ্খানুপুঙ্খ বিশদ বিবরণ। নিয়ম করে বাংলায় ডিসেম্বর বিপ্লবের কথা আওরাচ্ছেন বঙ্গ বিজেপির নেতারা। তার আগেই এই পুস্তিকা প্রকাশ বেশ তাৎপর্যপূর্ণ।
প্রচার পুস্তিকায় উল্লেখ, 'পুলিশ সমস্ত দলের রাজনৈতিক দলের কর্মীদের মাদক ও অন্যান্য মামলায় জামিন অযোগ্য ভুয়ো মামলা দিচ্ছে। মুখ্যমন্ত্রী প্রভাব খাটিয়ে বেশিরভাগ সরকারি কর্মচারীকে ওনার ব্যক্তিগত কর্মীবৃন্দে রূপান্তরিত করেছেন। এই রাজ্যে আইনের শাসন নেই। শুধুমাত্র সমস্ত বিরোধী দলের কর্মীরাই নয়, এমনকী পশ্চিমবঙ্গের বিরোধী দলনেতার বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দায়ের করার ঔদ্ধত্য দেখিয়েছেন।' সেখানে তাঁর বিরুদ্ধে বিভিন্ন মামলার কথা ছবিসহ তুলে ধরেছেন বিরোধী দলনেতা। প্রায় দশটির বেশি জায়গায় রাস্তায় শয়ে শয়ে পুলিশ দিয়ে তাঁকে আটকানো হয়েছে, তার বেশ কয়েকটি ছবি প্রচার পুস্তিকায় দেওয়া হয়েছে। বিরোধী দলনেতার দাবি, পর্যাপ্ত অর্থের অভাবে সবকটা ছাপানোর যায়নি।
গত দেড় বছরে বিরোধী দলনেতার বিরুদ্ধে তৃণমূল সরকার ২৬টা মামলা করেছে বলে দাবি করা হয়েছে। যার সবকটার সারবত্তা নেই বলে সোচ্চার গেরুয়া বাহিনী। তবে এতে বিজেপিকে দমিয়ে রাখা যাবে না বলেও সুর চড়ানো হয়েছে।
পুস্তিকায় লেখনির শেষে রীতিমত হুঁশিয়ারির সুরে শুভেন্দু অধিকারী বলেছেন, 'খুব শিগগিরিই উনি (মুখ্যমন্ত্রী) ও ওনার কর্মচারীরা জনগণের বিচারের সম্মুখীন হবেন।' তাহলে কী ডিসেম্বরের পরই রাজ্যে ভোট হতে পারে? জল্পনা উস্কে দিয়েছে বিজেপির প্রচার পুস্তিকা।