মমতা সরকারের আমলে পশ্চিমবঙ্গে আরও এক কেলেঙ্কারির কথা ফাঁস করলেন বিরোধী দলনেতা। যা নিয়ে সরগরম রইল বুধবারের বিধানসভা।
সার ইস্যুতে এ দিন বিধানসভায় কেন্দ্রের বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলেন মুখ্যমন্ত্রী। বলেন, 'আমি সারের দাম নিয়ে কেন্দ্র, পিএমকে চিঠি লিখেছি। সার কেন্দ্রের নিয়ন্ত্রণে। সার নিয়ে চিঠি লিখেছি। আমরা সার পাচ্ছি না। আমাদের সঙ্গে যে চুক্তি ছিল, তার পরেও এক তৃতীয়াংশ পেয়েছি। এতে চাষীদের সমস্যা আছে। বিরোধীদের বলব কেন্দ্রের মন্ত্রীকে বলুন।'
অল্প সময়ের জন্য এ দিন বিধানসভায় ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি চলে যেতেই সারের কালোবাজারির অভিযোগ তোলেন বিজেপি বিধায়করা। এই ইস্যুতে বিধানসভায় আলোচনার প্রস্তাবও দেন পদ্ম বিধায়করা। তবে প্রস্তাব খারিজ করে দেন বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। তারপরেই বিধানসভায় হট্টগোল জুড়ে দেন প্রধান বিরোধী দলের বিধায়করা।
বিরোধী দলের কাছে রাজ্যের দাবি-দাওয়া নিয়ে কেন্দ্রের কাছে মুখ্যমন্ত্রীর সহযোগিতার আর্জিতে রাজি শুভেন্দু অধিকারী। তবে, তা শর্তসাপেক্ষ বলে জানিয়েছেন বিরোধী দলনেতা। কী সেই শর্ত? শুভেন্দু অধিকারী বলেন, 'মুখ্যমন্ত্রী সার নিয়ে কেন্দ্রকে চিঠি দিয়েছেন। বলেছেন আমাদের সারের ঘাটতি আছে। বিরোধীদের উদ্দেশে মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, আমাদের সহযোগিতা চাই। মুখ্যমন্ত্রী যখন আমাদের সাহায্য চেয়েছেন, আমরা নিশ্চয়ই করব। এক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় সরকারকে পাঠানো চিঠি হয় রাজ্য বিজেপির সভাপতি, নয়তো বিরোধী দলনেতাকে দিতে হবে। তা হলেই আমরা রাজ্যে সারের চাহিদা নিয়ে কেন্দ্রের সঙ্গে কথা বলতে পারি।'
এরপরই সার কালোবাজারি নিয়ে বোমা ফাটান শুভেন্দু অধিকারী। বলেন, 'রাজ্যে সারের ঘাটতি আছে। কিন্তু সার নিয়ে রাজ্যে কালোবাজারি হচ্ছে। ১২০০ টাকার সার কৃষকদের কিনতে হচ্ছে ২৫০০ টাকা দিয়ে। কালোবাজারি বন্ধ করুক রাজ্য সরকার। আমরা এ বিষয়ে বিধানসভায় মুলতবি প্রস্তাব এনে আলোচনা চেয়েছিলাম। আমাদের বলতে দেওয়া হয়নি।' বিরোধী দলনেতার দাবি, 'বাড়তি ১৩০০ টাকা তৃণমূলের নেতা, এনফোর্সমেন্ট দফতর লুঠ করছে, আর গরিবরা মারা যাচ্ছে। আলু ছাষিরা কেউ দাম পাচ্ছেন না। এরপর বোরোতেও দাম পাবে না। মুখ্যমন্ত্রী হাউসকে মিস-লিড করে চলে গেলেন।'