বঙ্গ-সম্মান প্রদানের মঞ্চ থেকে সোমবার পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের গ্রেফতারি নিয়ে মুখ খুললেন মুখ্যমন্ত্রী। মন্ত্রী ঘনিষ্ঠ অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের ফ্ল্যাট থেকে ২১ কোটির বেশি উদ্ধার নিয়েও নীরবতা ভেঙেছেন তিনি। কড়া ভাষা, আক্রমণ শানিয়েছেন বিজেপি ও বামেদের। যা নিয়েই পাল্টা তৃণমূল সুপ্রিমোর বিরুদ্ধে তোপ দেগেছেন বিরোধী দলনেতী শুভেন্দু অধিকারীষ তাঁর দাবি, 'মনে হচ্ছে এই প্রথমবার তৃণমূল নেত্রী ভয় পেয়েছেন। উনি বুঝে গিয়েছেন এই দুর্নীতির পর্দা ফাঁসের পর বাংলায় আর মাথা উঁচু করে মানুষের সামনে যাওয়া সম্ভব নয়।'
পার্থ ঘনিষ্ঠ অর্পিতা দলের কেই নন বা তাঁর সঙ্গে তৃণণূলের কোনও সম্পর্ক নেই বলে এ দি দাবি করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের গ্রেফতারি 'ট্র্যাপ' হতে পারে বলেও সন্দেহ প্রকাশ করেছেন। তবে, পার্থবাবু যে নির্দোষ তা একবারের জন্যও বলেননি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথায়, 'কেউ যদি জেনেশুনে অপরাধ করে থাকেন, তাহলে তাঁর যাবজ্জীবন সাজা হলেও আমার আপত্তি নেই। কিন্তু বাচ্চা জন্মানোর আগেই অন্নপ্রাশনের তারিখ ঠিক হয়ে যাচ্ছে। তদন্ত সবে শুরু হয়েছে। তদন্তে দল ও সরকার কোনভাবেই হস্তক্ষেপ করবেন না।'
তাঁর ছবি নিয়ে বিরোধীরা যেভাবে প্রচার করছে তা নিয়েও ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন মমতা। বলেন, 'আমি যদি কোথাও যাই সেখানে যদি কে থাকছে সেটা আমার জানার বিষয় নয়। আমার সঙ্গে টাকার ছবি দিয়ে বিরোধীরা কুৎসা রটাচ্ছে।'
আরও পড়ুন- ‘কেউ চোর-ডাকাত হলে তৃণমূল রেয়াত করবে না’, পার্থ-কাণ্ডে এবার নীরবতা ভাঙলেন মমতা
শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি হলে তার সমাধান হবে বলেও আশ্বাস দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর প্রশ্ন, 'চাকরির ক্ষেত্রে ১০০টার মধ্যে ১টা ২টো নিজেদের লোককে দেওয়া হবে না?'
বঙ্গ-সম্মান প্রদান অনুষ্ঠান শেষেই মুখ্যমন্ত্রী দাবি নিয়ে তোপ দেগেছেন শুভেন্দু অধিকারী। সরকারি মঞ্চে কেন রাজনীতির কথা বললেন মমতা তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক। বলেন, 'ঘটনার ৭২ ঘন্টা পর মুখ খুলেছেন মানীয়া। পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে যেভাবে ঝেড়ে ফেলার চেষ্টা হল ও বঞ্চিত চাকরি প্রার্থীদের দিশাহীনতার যে বার্তা উনি দিলেন তাতে দুর্নীতি হয়েছে সেঠাই প্রকাশ পেল। মাননীয়া বলেছেন, চাকরিতে নিয়োগের ক্ষেত্রে নিজেদের লোককে নিতে হয়। কিন্তু সরকারি চাকরি আইন মেনে হয়। পরীক্ষা মেধার মাধ্যমে চাকরি হয়। উনি তাতে বুড়ো আঙাুল দেখাত পারেন না। বঞ্চিতদের সিপিএম-বিজেপির ক্যাডার বলে অপমান করেছেন। মনে হচ্ছে এই প্রথম তৃণমূল নেত্রী ভয় পেয়েছেন। উনি বুঝে গিয়েছেন এই দুর্নীতির পর্দা ফাঁসের পর বাংলায় আর মাথা উঁচু করে মানুষের সামনে যাওয়া সম্ভব নয়।'
আরও পড়ুন- ‘১০০টার মধ্যে ১টা চাকরি নিজের লোককে নয়?’ প্রশ্ন মমতার, ‘দুর্নীতি মানলেন’ পাল্টা শুভেন্দু