কাঁথিতে বহুতল নির্মাণে পুরসভায় ৫০ লক্ষ টাকা জমা দিলেও প্ল্যান পাস করানো হয়নি বলে শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে চিঠি লিখেছিলেন জেলবন্দি সারদাকর্তা সুদীপ্ত সেন। যা নিয়ে হুলস্থূল পড়ে যায়। কলকাতার নগর দায়রা আদালতে ওই চিঠি নিয়ে তদন্তের দাবিতে আর্জি জানিয়েছিলেন তৃণমূল মুখপাত্র ঘোষের আইনজীবী অয়ন চক্রবর্তী। সুদীপ্তকে দিয়ে জেলে ওই চিঠি রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে লেকানো হয়েছে বলে দাবি করেছিলেন বিরোধী দলনেতা। বুধবার কুণাল ঘোষের আইনজীবীর আর্জির ভিত্তিতে সুদীপ্ত সেনের লেখা চিঠি সিবিআইকে তদন্তের জন্য পাঠানোর নির্দেশ দিল আদালত।
Advertisment
এরপরই এদিন সোশাল মিডিয়ায় তোপ দাগেন কুণাল। লেখেন, 'শুভেন্দুর বিরুদ্ধে কাঁথি পুরসভা সংক্রান্ত তোলাবাজিতে সারদাকর্তার চিঠি সিবিআইকে তদন্তের জন্য পাঠানোর নির্দেশ দিলেন আদালত। সিএমএম এজলাসে সারদাকর্তার চিঠির উপর তদন্তের দাবিতে পিটিশন করেন কুণাল ঘোষের আইনজীবী অয়ন চক্রবর্তী। আদালত শুনানির পর বিষয়টি সিবিআইকে পাঠানোর সিদ্ধান্ত জানান। তদন্ত আজ না হলে কাল হবে। কাঁথি পুরসভার অ্যাকাউন্টে সারদার ব্যাঙ্ক ড্রাফটে টাকা (নগদ আলাদা) ঢুকে থাকলে সারদাকর্তার চিঠির বয়ানের সত্যতা প্রমাণিত হবে। সেক্ষেত্রে শুভেন্দু ও সহযোগীদের গ্রেপ্তার করতে হবে। দেখব কতদিন দিল্লি দিয়ে এজেন্সি ম্যানেজ করে চলে।'
পাল্টা সংবাদ মাধ্যমে শুভেন্দু অধিকারী কুণাল ঘোষকে নিশানা করে বলেন, 'খুব সুন্দর। আমি স্বাগত জানাচ্ছি। এই চিঠিটা লিখিয়েছে সাড়ে ৩ বছর জেল খাটা, নর্দমার কীট বলি যাঁকে। কবে লিখিয়েছে প্রেসিডেন্সি জেলে গিয়ে আমি জানি। আমি তো আগেই সিবিআইকে চিঠি দিয়ে বলেছিলাম, এটা উদ্দেশ্যমূলক অভিসন্ধি।'
নাম না করলেও বিরোধী দলনেতার তোপের জবাবে পরে ফের টুইটারে কুণাল ঘোষ লেখেন, 'সারদাকর্তার চিঠি কার লেখা, এসব প্রলাপে নজর ঘুরিয়ে লাভ নেই। একটাই কথা- কাঁথি পুরসভায় সারদার ব্যাঙ্কড্রাফট জমা পড়েছে কি না। (নগদের কথা আলাদা) যদি ড্রাফট জমা পড়ে থাকে, সারদাকর্তার চিঠির অভিযোগ সত্য। সিবিআই, ইডি অবিলম্বে কাঁথি পুরসভায় যাক।'