আগেও দিয়েছেন, ফের দিলেন। হলদিয়ায় দাঁড়িয়ে পুলিশকে কড়া হুঁশিয়ারি দিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। চ্যালেঞ্জের সুরেই বললেন, ‘যে হাত দিয়ে সত্যব্রত দাসকে চড় মেরেছেন। সেই দুটি হাত দিয়ে সত্যব্রত দাসের পা ধরাতে যদি না পারি, তাহলে আমার নাম শুভেন্দু অধিকারী নয়।’
পূর্ব মেদিনীপুরের হলদিয়া পুরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডের প্রাক্তন কাউন্সিলর সত্যব্রত দাস। সত্যব্রত শুভেন্দু-ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত। তাঁর বিরুদ্ধে আর্থিক বেনিয়মের অভিযোগে করে পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেছিলেন সুতাহাটার বর্ষীয়ান শিক্ষক ও তৃণমূল নেতা কমলেশ চক্রবর্তী। সেই অভিযোগের তদন্তে সম্প্রতি সুতাহাটা থানার পুলিশ সত্যব্রত দাসকে গ্রেফতার করে। অভিযোগ, পুলিশ সত্যব্রতকে মারধর করেছে।
পূর্ব মেদিনীপুর জেলা পরিষদ এবং ঘাটাল পুরসভা এলাকার কাজে ভুয়ো নথি দেখিয়ে হলদিয়ার প্রাক্তন চেয়ারম্যান শ্যামল আদকের সংস্থার নামে ৮৬ লক্ষ ২৯ হাজার টাকার ক্রেডেনসিয়াল তৈরি করা হয়েছে। এই মামলারই তদন্তে নেমে ১২ সদস্যের সিট গঠন করেছে জেলা পুলিশ আগেই। সিটের জিজ্ঞাসাবাদের পরই গ্রেফতার করা হয় সত্যব্রতকে।
রাজ্যের বিরোধী দলনেতার দাবি, কমলেশ চক্রবর্তী নামের এক ব্যক্তির মিথ্যা অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ জনপ্রিয়, পরোপকারী ব্যক্তিত্ব তথা প্রাক্তন কাউন্সিলর সত্যব্রত ওরফে স্বপন দাসকে গ্রেফতার করেছে। শাসক দলকে কটাক্ষ করে শুভেন্দু বলেন, ‘পুলিশ বাবা পার করেগা।’
শুভেন্দুর পাল্টা তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ শান্তনু সেন বলেন, 'উনি তো বিশ্বাসঘাতক অধিকারী। শুভেন্দু আগেও পুলিশকে চটি চাটা বলেছিল। এবার পা ধরানোর হুঁশইয়ারি দিলেন। আসলে পুলিশ প্রশাসনকে এঁরা কী নজরে দেখে সেটা আরেকবার প্রমাণ হল। বিজেপির ভবিষ্যৎ বাংলায় খুব খারাপ।'