/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2023/01/Suvendu-1.jpg)
সভায় শুভেন্দু অধিকারী। ছবি- প্রদীপ চট্টোপাধ্যায়
নোটবন্দির সময়ে গোটা পশ্চিমবঙ্গে দুর্নীতিগ্রস্ত নেতারা নোট বদল করেছেন। ভাইপোও করেছে। ভাইপো তার পিএ-কে দিয়ে এবং কিছু নির্দিষ্ট ক্যাডারকে দিয়ে নোট বদলিয়েছে। বর্ধমানে বারের মালিক এক যুবনেতার মাধ্যমেও টাকার বদল ঘটানো হয়েছে। এছাড়াও জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের স্ত্রীর নামে ৪ কোটি টাকা পরিবর্তন করা হয়েছে বিধাননগরের ব্যাংকে। আর প্রাক্তন তৃণমূল বিধায়ক অর্ধেন্দু মাইতি নোটবন্দির সময়ে মুখবেড়িয়া কেন্দ্রীয় সমবায় ব্যাংকে ১৫ কোটি টাকা বদল করেছেন। এই সংক্রান্ত সমস্ত ডকুমেন্টস আমার কাছে আছে বলে, রবিবার বর্ধমানে সংবাদমাধ্যমের কাছে দাবি করলেন রাজ্য বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। একইসঙ্গে তিনি বলেন, 'জলশক্তি দফতরের টাকার কাজের টেন্ডার ভাইপোর সচিব উলগানাথন ১৫ জানুয়ারির মধ্যে করে দিতে বলেছে। এটা একদমই বেআইনি। যদি বেআইনি ভাবে ফিফটিন ফিনান্সের টাকা এদিক ওদিক করা হয়, তাহলে এক্ষেত্রেও আমরা আবাস যোজনা ও মনরোগার মতই ব্যবস্থা নেব।'
/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2023/01/Suvendu-2.jpg)
বর্ধমানের গাংপুরে সংলগ্ন প্যামরায় রবিবার অনুষ্ঠিত হয় বিজেপির সভা। সেই সভার প্রধান বক্তা ছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। সভায় বক্তব্য রাখতে উঠে শুভেন্দু জানান, চারবার চেষ্টার পর বর্ধমানের উপকণ্ঠে বিজেপির সভা হল। সভা করার জন্য আগে চারবার প্রশাসনের অনুমতি চাওয়া হয়েছিল। রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে ওঠা দুর্নীতির অভিযোগে আয়োজিত ওই সভায় শুভেন্দু অধিকারীর আক্রমণের নিশানায় ছিল তৃণমূল সরকার। আবাস যোজনা থেকে শুরু করে বিধানসভা নির্বাচন পরবর্তী বিজেপি নেতা-কর্মীদের ওপর হামলা এবং সন্ত্রাসের অভিযোগও তাঁর বক্তব্যে উঠে এসেছে। শুভেন্দু দাবি করেন, 'শুধুমাত্র মেদিনীপুর ও মালদায় নয়। অভিযোগের ভিত্তিতে রাজ্যের আরও ১৪টি জেলায় আবাস যোজনা ইস্যুতে তদন্তে আসবে কেন্দ্রীয় দল।'
আরও পড়ুন- আর বসবাসের যোগ্য নয় জোশীমঠ, ৬০টি পরিবারকে বের করে আনল প্রশাসন
মোমিনপুরের ঘটনা প্রসঙ্গেও রবিবার মুখ খোলেন শুভেন্দু। তিনি বলেন, 'কলকাতা পুলিশ গোটাটাই গটআপ অ্যারেস্ট করেছিল। সবটাই করা হয়েছিল ওই এলাকায় তৃণমূলের দায়িত্বে থাকা নেতার সঙ্গে কথা বলে। একমাস-দু'মাস জেলে থাকতে পারে এমন লোককে তুলিয়ে দেওয়া হয়েছে।' আমতায় তৃণমূল কর্মী খুন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, 'আমরা হত্যার রাজনীতিতে বিশ্বাস করি না। যে কোনও মৃত্যুই দুঃখের।' তবে বিস্তারিত না-জেনে এই বিষয়ে আর কিছু বলতে তিনি অস্বীকার করেন। পাশাপাশি শুভেন্দু দাবি করেন, 'গোটা তৃণমূল দলটাই চোর। কর্পোরেটের মত ওই দল চলছে।' ২০২২ সালে ৫২৮ কোটি টাকা কারা তৃণমূলকে ইলেকটরাল বণ্ড দিল, তার তালিকা প্রকাশেরও দাবি করেন বিরোধী দলনেতা। এত টাকা কি মদের কোম্পানিগুলো দিল? এই প্রশ্নও তিনি তুলেছেন। এবারের পঞ্চায়েত ভোটে মানুষের জোট হবে বলেও বিরোধী দলনেতা মন্তব্য করেছেন। রবিবারের সভায় শুভেন্দু ছাড়াও সাংসদ সৌমিত্র খান, জেলা সভাপতি অভিজিৎ তা-সহ রাজ্য এবং জেলার বিজেপি নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
বিরোধী দলনেতার এদিনের বক্তব্য প্রসঙ্গে রাজ্য তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপাত্র দেবু টুডু বলেন, 'উনি কি হেডমাস্টার নাকি? ওঁর বিরুদ্ধেই তো বিস্তর অভিযোগ। তার পরেও উনি লম্বা-চওড়া কথা কোন মুখে বলছেন? কে চোর, কে হাত পেতে টাকা নিয়েছে, তা আর নতুন করে আমাদের বলতে হবে না। বাংলার মানুষ সব জানে।'