হাইকোর্টে গিয়েও স্বস্তি পেলেন না বিরোধী দলনেতা। পঞ্চায়েত ভোটের দিন নিজের ভোটগ্রহণ কেন্দ্রেই সীমাবদ্ধ থাকতে হবে শুভেন্দু অধিকারীকে। নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্ত বলা রেখে স্পষ্ট জানিয়ে দিলেন বিচারপতি অমৃতা সিনহা। কাঁথি থানার পুলিশের একটি নোটিশকে চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন বিরোধী দলনেতা। তবে এই পর্বে স্বস্তি পেলেন না বিজেপি বিধায়ক।
ভোটের একদিন আগেও কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তাঁর গতিবিধি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছে রাজ্য পুলিশ, এব্যাপারে গতকাল রাতেই কাঁথি থানার তরফে তাঁকে একটি নোটিশ পাঠানো হয়েছে বলে অভিযোগ জানান শুভেন্দু। সেই নোটিশকে চ্যালেঞ্জ করেই উচ্চ আদালতে গিয়েছিলেন নন্দীগ্রামের বিজেপি বিধায়ক। যদিও বিচারপতি অমৃতা সিনহা নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্তই বহাল রাখলেন।
শনিবার ত্রিস্তর পঞ্চায়েত নির্বাচন। ভোটের মাত্র একদিন আগেও এবার কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন নন্দীগ্রামের বিজেপি বিধায়ক তথা বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। শুভেন্দুর অভিযোগ, নির্বাচনের দিন তাঁর গতিবিধি নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করছে রাজ্য প্রশাসন। সেই মর্মে তাঁকে কাঁথি থানার পুলিশের তরফে নাকি একটি নোটিশও পাঠানো হয়েছিল।
আরও পড়ুন- ভোটের একদিন আগেও বাংলায় রক্তস্নান জারি! এবার এক কংগ্রেস কর্মীকে পিটিয়ে খুন!
সেই নোটিশকে চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে আবেদন করেছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। বিচারপতি অমৃতি সিনহা এদিন শুভেন্দু অধিকারীর আবেদনে সাড়া দেননি। অর্থাৎ, ভোটের দিন নিজের ভোটগ্রহণ কেন্দ্রর মধ্য়েই সীমাবদ্ধ থাকতে হবে বিরোধী দলনেতাকে। এদিন শুভেন্দু অধিকারী বলেন, 'বিরোধী দলনেতার গতিবিধি নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে। কাল ভোটে বাইরে থেকে যাকে পাঠাবে তারা আর বাড়ি ফিরবে না। কোথায় যাবে আমি জানি না। আমাকে নিয়ে আতঙ্কে ভুগছে তৃণমূল। খুনিকে প্যারোলে ছাড়িয়েছে ভাইপো। তবে আজ সন্ধের মধ্যে ফোর্স ঢুকে যাবে। বহিরাগতরা সুবিধা করতে পারবে না। নদীপথ সিল করে রেখেছি। বহিরাগতরা এলে বাড়ি ফিরবে না। মানুষ প্রতিরোধ করবে।'