Suvendu Adhikari: 'সব কা সাথ, সব কা বিকাশ'। স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর স্লোগান। ভারত শাসনের এই স্লোগানই ছিল উনিশ এবং চব্বিশের লোকসভা নির্বাচনে বিজেপির মূলমন্ত্র। কিন্তু এবার সেই স্লোগানই বন্ধ করার ডাক দিলেন বাংলার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। সেই সঙ্গে বিজেপির সংগঠনেও বড়সড় বদলের প্রস্তাব দিলেন বিরোধী দলনেতা। বুধবার রাজ্য বিজেপির কর্মসমিতির বৈঠকে শুভেন্দুর মন্তব্য ঘিরে রাজ্য রাজনীতিতে শোরগোল পড়ে গিয়েছে।
এদিন লোকসভা নির্বাচনে বিপর্যয়ের পর বাংলার দায়িত্বপ্রাপ্ত কেন্দ্রীয় নেতাদের নিয়ে প্রথম বড় বৈঠক ছিল এটি। সায়েন্স সিটি অডিটোরিয়ামের মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী মনোহরলাল খাট্টারও। প্রাক্তন এবং বর্তমান রাজ্য সভাপতিও ছিলেন। তাঁদের সামনেই মঞ্চ থেকে শুভেন্দু এই বক্তব্য রাখেন। তবে দলীয় নেতৃত্বের অনেকের মত, দলের নেতা হিসাবে শুভেন্দু এটা বলতে পারেন। কিন্তু তিনি কেন্দ্রীয় সরকারের অংশ নন। তাই সরকারি স্লোগান নিয়ে বিতর্ক অনভিপ্রেত।
কী বলেছেন শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)
বৈঠকে শুভেন্দু দলীয় নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে চিৎকার বলেন, ‘'আমিও বলেছি রাষ্ট্রবাদী মুসলিম। আপনারাও বলেছেন সব কা সাথ, সব কা বিকাশ। আর বলব না।’’ এর পরে দু’হাত জোড় করে কিছুক্ষণ চুপ করে থাকেন বিরোধী দলনেতা। তার পরে আবার আগের মতো চিৎকার করে বলেন, ‘‘বলব, যো হামারি সাথ, হাম উনকা সাথ। সব কা সাথ, সব কা বিকাশ বন্ধ করো।’' বক্তৃতা শেষ করেন ‘জয় শ্রীরাম’ ধ্বনি দিয়ে। শুভেন্দু এদিন তাঁর ভাষণে এটাও স্পষ্ট করে দেন গত লোকসভা নির্বাচনের মতো আগামী দিনেও সব নির্বাচনেই বাংলায় ধর্মীয় মেরুকরণের পক্ষে হাঁটতে চান তিনি।
এখানেই শেষ নয়, বক্তৃতার শেষে তিনি বলেন, সংখ্যালঘু মোর্চার দরকার নেই। অর্থাৎ দলে সাংগঠনিক পরিবর্তনের ডাক দেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক। একেবারে শেষে বলেন, 'নো নিড ফর সংখ্যালঘু মোর্চা'। বর্তমানে এই মোর্চার রাজ্য সভাপতি চার্লস নন্দী।
পরে এক্স হ্যান্ডেলে নিজের বক্তব্যের স্বপক্ষে যুক্তি দেন শুভেন্দু। লেখেন, 'আমার বক্তব্যকে ভুল ভাবে ব্যাখ্যা করা হচ্ছে। আমি পরিষ্কার মনে করি যে যাঁরা জাতীয়তাবাদী, তাঁরা এই জাতি ও বাংলার পক্ষে দাঁড়াবে, আমাদের তাঁদের পাশে থাকা উচিত। যাঁরা আমাদের পাশে দাঁড়ায় না, দেশ ও বাংলার স্বার্থের বিরুদ্ধে কাজ করে, তাঁদের মুখোস খুলতে হবে। এছাড়াও, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতো, আমাদের লোকেদের সংখ্যাগরিষ্ঠ এবং সংখ্যালঘুতে বিভক্ত করা উচিত নয় এবং তাঁদের ভারতীয় হিসাবে দেখা উচিত। আমি অক্ষরে ও চেতনায় মূর্ত হয়েছি, সব কা সাথ, সব কা বিকাশ, সব কা বিশ্বাস, সব কা প্রয়াসের জন্য প্রধানমন্ত্রীর আহ্বানে।'