Sandeshkhali Case: শেষমেশ শুভেন্দু অধিকারীকে সন্দেশখালিতে ঢোকার ছাড়পত্র দিয়ে দিল কলকাতা হাইকোর্ট। গতকালই হাইকোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চ শুভেন্দু অধিকারীদের শর্তসাপেক্ষে সন্দেশখালিতে ঢোকার অনুমতি দিয়েছিল। সিঙ্গল বেঞ্চের সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চে গিয়েছিল রাজ্য সরকার। প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চও আজ শুভেন্দু অধিকারী এবং বিজেপি বিধায়ক শঙ্কর ঘোষকে সন্দেশকালিতে ঢোকার অনুমতি দিয়েছে।
হাইকোর্টের এই নির্দেশকে স্বাগত জানিয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী। তিনি বলেছেন, "এটা সন্দেশখালির মা-বোনেদের জয়। আদালতের নির্দেশ মেনেই আমরা সন্দেশখালিতে যাব।"
এদিন সকালে ফের একবার সন্দেশখালির রাস্তায় আবারও তুমুল উত্তেজনা তৈরি হয়। সন্দেশখালিতে যাওয়ার পথে ফের আটকানো হয় রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে। শুধু শুভেন্দুই নন, এদিন সন্দেশখালিতে সিপিএম নেত্রী বৃন্দা কারাতের নেতৃত্বে আরও একটি প্রতিনিধি দল যাওয়ার চেষ্টা করছিল। ধামাখালিতেই তাঁদেরও আটকে দেয় পুলিশ।
এর আগেও একাধিকবার সন্দেশখালি (Sandeshkhali) যাওয়ার পথে আটকানো হয়েছে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে (Suvendu Adhikari)। আজ ফের একবার সেই একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি। এদিন দলের ৬ বিধায়ককে সঙ্গে নিয়ে সন্দেশখালির উদ্দেশে রওনা দেন নন্দীগ্রামের (Nandigram) BJP বিধায়ক। ধামাখালিতে পৌঁছতেই তাঁকে আটকায় পুলিশ। যদিও শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) দাবি, কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court) তাঁকে সন্দেশখালি যাওয়ার ছাড়পত্র দিলেও পুলিশ তা মানছে না।
আদালতের এদিনের রায়ের আগে শুভেন্দু অধিকারী বলেছিলেন, "হাইকোর্টকে মানছে না সরকার। ভয়ে কাঁপছেন মমতা। পশ্চিমবঙ্গে গুন্ডারাজ চলছে। ডিভিশন বেঞ্চে ওরা যেতেই পারেন। ডিভিশন বেঞ্চ যদি স্থগিতাদেশ দেয় ওখান থেকেই ফিরে আসব। ডিভিশন বেঞ্চ যদি স্থগিতাদেশ না দেয় তারপরেও যদি পুলিশ আমাকে আটকায়, তবে ফিরে এসেই ফের আদালতের দ্বারস্থ হব।" যদিও কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ এদিন শুভেন্দু অধিকারীকে সন্দেশখালি যাওয়ার ছাড়পত্র দিয়েছেন।
উল্লেখ্য, গতকাল কলকাতা হাইকোর্ট জানায়, সন্দেশখালির নির্দিষ্ট কয়েকটি জায়গায় যেতে পারবেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। তবে কোনও প্ররোচনা দিতে পারবেন না তিনি। শুভেন্দু অধিকারীর নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকবে রাজ্য পুলিশই। বিরোধী দলনেতার দাবি, আদালতের শর্ত মেনেই তিনি সন্দেশখালি যাচ্ছিলেন, তাও পুলিশ তাঁকে আটকে দিয়েছে। যদিও শুভেন্দুর সন্দেশখালি যাওয়া ইস্যুতে হাইকোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চে গিয়েছিল রাজ্য সরকার। যদিও আদালতের নির্দেশ শুভেন্দু অধিকারীর পক্ষেই গিয়েছে।
অন্যদিকে, এদিন ধামাখালিতে সিপিএমের (CPIM) প্রতিনিধি দলকেও আটকে দেয় পুলিশ। বৃন্দা কারাতের (Brinda Karat) নেতৃত্বে সিপিএমের প্রতিনিধি দল এদিন সন্দেশখালি যাওয়ার চেষ্টা করছিল। তাঁদেরও ধামাখালিতেই আটকে দিয়েছে পুলিশ।