ফোন বিতর্কে শুভেন্দু অধিকারীকে বুধবার চ্যালেঞ্জ ছুড়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ২৪ঘন্টার মধ্যে পাল্টা দিলেন বিরোধী দলনেতা। তবে, কল ডিটেলস-এর প্রমাণ দেখাবেন বললেও নিয়মের কথা বলে তা প্রকাশ্যে আনেননি শুভেন্দু। উল্টে মুখ্যমন্ত্রীকে আইনি পথ অনুসরণের পরামর্শ দিয়েছেন বিরোধী দলনেতা। সঙ্গে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে বলেছেন, 'যার নাম মুখে আনতে কষ্ট হয় সেই কিম্ভূতকিমাকারের কাছে আপনি হেরেছেন। কষ্ট তো হবেই। আপনি অপারেজয়। আর আপনি নাকি সেই কিম্ভূতকিমাকারের কাছে ১৯৫৬ ভোটে হেরে গেলেন। আপনি রাজ্যের প্রশাসনিক চেয়ারে বসে সেই আমার উদ্দেশে বলছেন কিম্ভূতকিমাকার। চ্যালেঞ্জ করছি আপনাকে হারিয়েছি, এবার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী না করতে পারলে রাজনৈতিক সন্ন্যাস নেব।'
বৃহস্পতিবার সাংবাদিক বৈঠকে শুভেন্দু অধিকারী জানিয়েচেন, তিনি মমতার চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করছেন। তবে ল্য়ান্ডলাইন থেকে মমতা অমিত শাহকে ফোন করেছেন বলে একদিন আগে দাবি করলেও, এদিন ফোনের কথোপকথন বিশদ ব্যাখ্যা করেননি নন্দীগ্রামের বিধায়ক। তাঁর যুক্তি, ভারতীয় আইন অনুযায়ী, নির্বাচিত মুখ্যমন্ত্রীর ফোনের কল ডিটেলস সর্বসমক্ষে আনা যায় না। তাই মমতা চাইলে আদালতে যেতে পারেন।
আরও পড়ুন- গঙ্গাজল-গোময়-গোমূত্র দিয়ে শোধনের পরই পদ্মে যোগদান! নিদান বিজেপি’র
শুভেন্দুর হুঁশিয়ারি, '৪ মার্চ থেকে ১২ এপ্রিলের মধ্যে ল্যান্ডলাইনের সমস্ত কল রেকর্ড আদালতের কাছে চাইব, মুখ্যমন্ত্রীর কলরেকর্ড সকলের সামনে আনতে চাই না। তাই আদালতে যাব। যা হওয়ার ওখানেই হবে। কলরেকর্ড সামনে এলেই সব প্রমাণিত হবে। মুখ্যমন্ত্রী আতঙ্কে আছেন, যদিও ওর ডিটেলস সামনে আনা উচিত।'
মুখ্যমন্ত্রীর ভাষা ব্যবহার নিয়ে এদিন তোপ দেগেছেন বিরোধী দলনেতা। বলেছেন, 'যে কদর্য ভাষা আপনার, বাংলার মানুষ তার উত্তর দেবেন। আরামবাগের তৎকালীন সাংসদ অনিল বসু কদর্য ভাষায় আক্রমণ করেছিলেন আপনাকে। সেই সময় বাংলার মানুষ আপনার পক্ষ নেন। এখন বিরোধী দলনেতা, জাতীয় নেতৃত্ব, প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সম্পর্কে যে ভাষায় কথা বলছেন, তাতে যত এমন কথা বলবেন, ততই বিচ্ছিন্ন হয়ে যাবেন মানুষের থেকে।'
বিরোধী দলনেতার দাবি, 'মুখ্যমন্ত্রী গত সোমবার ও বুধবার দুটি সাংবাদিক বৈঠক করেছেন। সোমবার সাংবাদিক বৈঠকে সরাসরি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে আক্রমণ করেছেন। বলেছেন, তিনি সংবিধান ভেঙেছেন, কারণ তিনি বলেছেন ৩৫টি আসন পেলে পশ্চিমবঙ্গে নাকি সরকার থাকবে না। মুখ্যমন্ত্রী ওনার বক্তব্য বিকৃত করেছেন।'