Suvendu Adhikari's Challenged To Mamata Banerjee Over CAA: সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনে (সিএএ) আবেদন করলেই আবেদনকারী নাগরিকত্ব হারাবেন। হাবড়ার সভাতেই এই আশঙ্কার কথা শুনিয়েছিলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। ঘোষণা করেছিলেন, পশ্চিমবঙ্গে সিএএ লাগু করতে দেবেন না তিনি। এমনকী কোনও ডিটেনশন ক্যাম্প বাংলায় করতে দেবেন না। সিএএ ফর্ম পূরণের আগেও মানুষদের বার বার ভেবে দেখার জন্য সতর্ক করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মুখ্যমন্ত্রীর দাবি, সিএএ এনআরসি-র সঙ্গে যুক্ত। এই আবহেই বৃহস্পতিবার মমতাকে নিশানা করেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। সিএএ নিয়ে রাজনীতি বন্ধ করার আর্জি জানিয়েছেন তিনি। দাবি করেছেন, 'মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় শরনার্থী এবং অনুপ্রবেশকারীদের মধ্যে ফারাকটাই বোঝেন না।'
এরপরই মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে সুর চড়িয়েছেন এ রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। শুভেন্দু অধিকারী বলেন, 'আপনারা দরখাস্ত করলে সব নাগরিকত্ব বাতিল করে দেবে। অধিকার বাতিল করে দেবে। এটা এনআরসি-র সঙ্গে কানেকটেড। আপনাদের ডিটেনশান ক্যাম্পে নিয়ে যাবে। এই দরখাস্ত করার আগে বারবার ভাববেন বলে ভয় দেখাচ্ছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আমি বিরোদী দলনেতা ও একজন বিধায়ক হিসাবে বলছি- সিএএ চালু হওয়ার পর কারোর নাগরিকত্ব গেলে আমি বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা দেব। না হলে আপনি দেবেন তো? সিএএ লাগু হলে কারোর নাগরিকত্ব যাবে না।'
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বাংলার মুখ্যমন্ত্রী উদ্দেশে বলেছেন, 'জাতীয় নিরাপত্তা সংক্রান্ত ইস্যুতে আপনি রাজনীতি করছেন। আপনি যদি এভাবে তোষণের রাজনীতি করতে থাকেন আর শরণার্থীদের নাগরিকত্ব দিতে না চান, তাহলে মানুষ আপনার পাশে আর থাকবে না।'
২০১৯ সালে সংসদের উভয়কক্ষেই পাস হয়েছিল নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল। সেবছরই রাষ্ট্রপতির সাক্ষরের ফলে তা আইনে পরিণত হয়। বিধি তৈরি না হওয়ায় সিএএ আইন গত প্রায় চার বছরের বেশি কার্যক করা যায়নি। এই আইনের মূল বিষয় হল ২০১৪ সালে ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে পাকিস্তান, আফগানিস্তান ও বাংলাদেশ থেকেধর্মীয় উৎপিড়নের শিকার হয়ে ভারতে ঢুকে পড়া সেদেশের সংখ্যালঘুদের (হিন্দু, খ্রিস্টান, বৌদ্ধ, জৈন, শিখ ও পারর্সি) এ দেশের নাগরিকত্ব দেওয়া।