Lok Sabha Election 2024: এদিকে বাঁকুড়ার প্রচারসভা থেকে সোমবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অভিযোগ, 'প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে এই ভাষা শোভা পায় না। বলছে, ৪ জুনের পর সবাইকে গ্রেফতার করবে, জেলে ভরবে। এখনই তো গোটা দেশ জেল হয়ে গেছে।'
Lok Sabha Election 2024: এদিকে বাঁকুড়ার প্রচারসভা থেকে সোমবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অভিযোগ, 'প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে এই ভাষা শোভা পায় না। বলছে, ৪ জুনের পর সবাইকে গ্রেফতার করবে, জেলে ভরবে। এখনই তো গোটা দেশ জেল হয়ে গেছে।'
TMC VS BJP: মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও শুভেন্দু অধিকারী।
According To Suvendu Adhikari Who Is Main Opponent Of BJP In Lok Sabha Election 2024: লোকসভা ভোটের একমাস আগে থেকেই কলকাতা সহ রাজ্যের জেলায় জেলায় রুটমার্চ করছে কেন্দ্রীয় বাহিনী। বিগত পঞ্চায়েত ভোটের ভিত্তিতে কেন্দ্রীয় বাহিনীর রুটমার্চ নিয়ে বাংলার পুলিশ-প্রশাসনের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ ছিল বিরোধীদের। এবার তাই নিরপেক্ষতার স্বার্থে আগেভাগেই পদক্ষেপ করেছে কমিশন। যদিও কমিশনের পদক্ষেপকে 'অতি সক্রিয়তা' বলে দাবি করেছে শাসক দল তৃমিূল। শান্তিপূর্ণ ভোটের স্বার্থে এ দিন শুভেন্দু অধিকারীর নেতৃত্বে বিজেপির এক প্রতিনিধি দল কমিশন দফতরে যান। পুলিশ পর্যবেক্ষকদের সঙ্গে দেখা করেন। সেখানে তাঁরা পুলিশের উচ্চপদস্থ আধিকারিকদের নিয়ন্ত্রণের আর্জি জানান।
Advertisment
কী বলেছেন শুভেন্দু অধিকারী?
কমিশন থেকে বেরিয়ে শুভেন্দু অধিকারী বলেন, '১৫টি রাজ্যে ভোট হয়েছে, বাংলার মতো কোথাও হিংসা হয়নি। ভোট পরবর্তী হিংসায় সিবিআই ৬১টি এফআইআর করেছে। পঞ্চায়েত ভোটে আদালতের নির্দেশে ৮২০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী এসেছিল। বাহিনীকে বসিয়ে রাখা হয়েছিল আর ৫৫ জন খুন হয়েছিলেন। বহু পঞ্চায়েতে ভোটাররা ভোটই দিতে পারেননি। তৃণমূল দুর্নীতি ছাড়া কিছু করেনি। কমিশনের কাছে বলেছি যে, অবাধ শান্তিপূর্ণ ভোটের ব্যবস্থা করুন। কারণ বাংলার ভোটে পুলিশ-ই প্রধান প্রতিপক্ষ।'
ভোট শেষের পরও মাস তিনেক কেন্দ্রীয় বাহিনী রাজ্যে রাখার আর্জি জানিয়েছেন বিরোধী দলনেতা। বলেছেন, 'গত কয়েক বছরে ১৩ হাজার বিজেপি কর্মীর বিরুদ্ধে মামলা দিয়েছে রাজ্য পুলিশ। পুলিশ সংযত না হলে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করব।'
কেন্দ্রীয় এজেন্সির আধিকারিকদের উপর হামলার অভিযোগ তুলে শুভেন্দু বলেছেন, 'এর আগে সন্দেশখালিতে ইডি আক্রান্ত হয়েছে, আদালত হস্তক্ষেপ করেছে। ভূপতিনগরে এনআইএ-র উপর হামলা হয়েছে, আমরা চাইব নির্বাচন কমিশন পদক্ষেপ করুক।'
মমতার কটাক্ষ-
এদিকে বাঁকুড়ার প্রচারসভা থেকে সোমবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অভিযোগ, 'প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে এই ভাষা শোভা পায় না। বলছে, ৪ জুনের পর সবাইকে গ্রেফতার করবে, জেলে ভরবে। এখনই তো গোটা দেশ জেল হয়ে গেছে। গণতন্ত্রকে জেল বানিয়ে দেওয়া হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর এক পকেটে এনআই, অন্য পকেটে সিবিআই। আর এক পকেটে ইডি, আবার অন্য পকেটে ইনকাম ট্যাক্স। এনআইএ-সিবিআই ভাই-ভাই আর বাকি এজেন্সি দিয়ে ফান্ড কালেকশন চলছে।
এরপরই প্রধানমন্ত্রীকে হুঁশিয়ারি দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, 'আমরা আপনাকে ভয় পাই না। কিন্তু এইভাবে জেলে ভরার হুমকি দেবেন না। নতুন সংসদ ভবনকে জেলে পরিণত করুন, তারপর সবাইকে জেলে ভরে দিন।'