বিশিষ্ট সংগীতশিল্পী উস্তাদ রশিদ খানের পাশে দাঁড়ালেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। ''শাস্ত্রীয় সংগীতের শ্রদ্ধেয় গায়কের প্রতি অভদ্র আচরণের নিন্দা করি।'' টুইট শুভেন্দু অধিকারীর। মঙ্গলবার রাতে কলকাতার চিংড়িহাটার কাছে শিল্পীর গাড়ি আটকায় পুলিশ। অভিযোগ, টাকা না দিতে চাইলে চালককে ড্রিঙ্ক অ্যান্ড ড্রাইভের কেস দেওয়ার হুমকি দেওয়া হয়। এমনকী ড্রাইভারের লাইসেন্স পর্যন্ত কেড়ে নেওয়া হয় বলে অভিযোগ।
উস্তাদ রসিদ খানের স্ত্রী জয়িতা বসু খানের অভিযোগ, মঙ্গলবার রাতে পুলিশ তাঁদের গাড়িচালক মদ্যপান করেছেন কিনা তার জন্য পরীক্ষা করে। তারপরেই কিছু না বলে সটান তাঁদের প্রগতি ময়দান থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। তাঁদের গাড়িটি অন্য একজনকে দিয়ে চালিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। থানায় সেই সময়ে বেশ কয়েকজন অফিসার তাঁদের সঙ্গে দুর্ববহার করে বলে অভিযোগ। ওই রাতেই থানায় পৌঁছোন শিল্পী রশিদ খান নিজে। তাঁর সঙ্গেও কয়েকজন পুলিশ আধিকারিক তর্কাতর্কি করতে শুরু করে দেন।
এদিকে, পদ্ম সম্মান প্রাপ্ত সংগীতশিল্পী রশিদ খান ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের হেনস্থার অভিযোগ উঠতেই সরব হয়েছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। টুইটে রাজ্য পুলিশকে তুলোধনা করেছেন নন্দীগ্রামের বিজেপি বিধায়ক। তিনি লিখেছেন, ''পদ্মভূষণ উস্তাদ রশিদ খান শাস্ত্রীয় সংগীতের শ্রদ্ধেয় গায়ক। কলকাতা পুলিশ তাঁর প্রতি যে অভদ্র আচরণ করেছে তার নিন্দা করি। প্রগতি ময়দানের পুলিশ তাঁকে ভোর ৪টেয় থানায় আসতে বলে। তাঁর ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করে।''
আরও পড়ুন- বাংলা থেকে যাচ্ছে পারসে-পাবদা-শুঁটকি, ঝাল না ঝোল? কী খাবেন পরেশ?
টুইটে বিরোধী দলনেতার অভিযোগ, ''প্রথমে বেলেঘাটা ট্র্যাফিক গার্ডের আধিকারিকরা তাঁর গাড়ি থামিয়ে চালকের কাছ থেকে ঘুষ চেয়েছিল অন্যথায় তারা মিথ্যা করে মত্ত অবস্থায় গাড়ি চালানোর অভিযোগ চাপানোর হুমকি দেয়। টাকা দিতে অস্বীকার করলে তারা গাড়িটি প্রগতি ময়দান থানায় নিয়ে গিয়ে তাকে আটক করে। সেলিব্রেটিরা যদি এমন হয়রানির শিকার হন তাহলে বাংলার সাধারণ মানুষের দুর্দশার কথা ভাবুন।'' তিনি নিজেও এই ধরনের ঘটনার সম্মুখীন হয়েছেন বলে দাবি শুভেন্দু অধিকারীর।