বিধানসভায় মুখ্যমন্ত্রী তাঁকে নিশানা করতেই তেলেবেগুনে জ্বলে ওঠেন বিরোধী দলনেতা। পরে সাংবাদিক বৈঠকে শুভেন্দু অধিকারী তুলোধনা করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। এদিন বিধানসভার ভিতরে বক্তব্য রাখাকালীন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরাসরি শুভেন্দুর নাম না করে তাঁর তৃণমূলে থাকার সময়কাল নিয়ে মন্তব্য করেছিলেন। তারই জবাব দিতে গিয়ে মমতা বন্দ্যেপাধ্যায়কে নজিরবিহীন আক্রমণ শানালেন নন্দীগ্রামের বিজেপি বিধায়ক।
Advertisment
শুভেন্দুর কথায়, 'উনি আমাকে মেদিনীপুরের নেতা করে রেখেছিলেন। বিজেপি আমাকে রাজ্যে নেতা করে দিয়েছে। বিরোধী দলনেতাকে হজম করা মুশকিল তাই ভাববাচ্যে কথা বলছেন। ২০১৮ সালে আমার এলাকা কাঁথিতে ভোট লুঠ করতে দিইনি বলেই উনিশের নির্বাচনে কাঁথি-তমুলকে আপনাকে জিতিয়েছিলাম।'
২০১৮ সালে শুভেন্দু অধিকারী তৃণমূলেই ছিলেন। ওই বছরেও জোড়াফুল ভোট লুঠ করেছিল বলে ফের সরব বিরোধী দলনেতা। এপ্রসঙ্গে তৃণমূল সুপ্রিমোকে বিঁধে শুভেন্দু বলেন, '২০১৮ সালে ভোট লুঠ করেছিলেন বলেই উনিশের লোকসভা ভোটে মেদিনীপুর, মালদহ উত্তর, বালুরঘাট, রানাঘাট, ব্যারাকপুর, বর্ধমান, আলিপুরদুয়ার, জলপাইগুড়ি, ঝাড়গ্রামে হেরেছিলেন। এবার '২৪-এ জনগণ ১৮টাকে ২৪ করবে। কেন্দ্রীয় নির্বাতন কমিশন মানুষকে ভোট দেওয়ার পরিবেশটা শুরু করে দিক। জনগণ তৈরি আছে। যাদের ভোট দিতে আটকেছেন তাঁরাই বদলা নেবে।'
এছাড়াও এদিন রাজ্যপাল-তৃণমূল সম্পর্ক নিয়েও মুখ খুলেছেন বিরোধী দলনেতা। শুরুর দিকে রাজ্যপাল সিবি আনন্দ বোসের সঙ্গে সখ্যতার সম্পর্কই ছিল রাজ্যের শাসকদলের শীর্ষ নেতৃত্বের। তবে পরবর্তী সময়ে রাজভবনের সঙ্গে নানা ইস্যুতে দূরত্ব বেড়েছে নবান্নের। পঞ্চায়েত নির্বাচনকে ঘিরে সেই দূরত্ব যেন আরও প্রকট হয়েছে। এদিন এপ্রসঙ্গে রাজ্যকে বিঁধে শুভেন্দু অধিকারী বলেন, 'পছন্দ হলে বলে রাজ্যপাল ভালো। যখন রাজ্যপাল বলছেন খুন হচ্ছে ,সন্ত্রাস চলছে, ক্যানিং যাব-ভাঙড় যাব! তখন বলছে রাজ্যপাল পদ্মপাল।'