/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2023/06/pic-2.png)
ফাইল ছবি।
অভিষেকের দাবি ওড়ালেন বিজেপি। সিআইএসএফ নয়, ঠাকুরনগরের ঠাকুরবাড়ি মন্দিরের অমর্যাদা করেছে রাজ্যের অধীনস্থ আরএএফ বাহিনী, টুইটারে একটি ছবি পোস্ট করে এমনই দাবি করেছে রাজ্য় বিজেপি। রবিবার তৃণমূলের নবজোয়ার কর্মসূচি উপলক্ষে ঠাকুরনগরে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সফর ঘিরে ধুন্ধুমার-কাণ্ড বেঁধে যায়। মতুয়া মহাসংঘের কর্মী-সমর্থকরা বিক্ষোভ, কালো পতাকা দেখিয়েছেন অভিষেক ও তাঁর সঙ্গে থাকা তৃণমূল কর্মীদের। যার জেরে ঠাকুরবাড়ির মূল মন্দিরে পুজোই দিতে পারেননি তৃণমূলের শীর্ষ নেতা। বাধ্য হয়ে পাশের মন্দিরে পুজো দিয়ে ফিরে যেতে হয় তাঁকে।
রবিবার ঠাকুরনগরে চূড়ান্ত অপ্রীতিকর পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শান্তনু ঠাকুরের সুরক্ষায় মোতায়েন থাকা সিআইএসএফ বাহিনীর জওয়ানরা জুতো পরে ঠাকুরনগরের ঠাকুরবাড়ি মন্দিরে উঠে পরেছিলেন বলে অভিযোগ অভিষেকের। শুধু তাই নয়, কেন্দ্রীয় জওয়ানরা মহিলাদের ধাক্কাধাক্কি পর্যন্ত করেছেন বলেও অভিযোগ অভিষেকের। তবে এবার অভিষেককে পাল্টা জবাব বঙ্গ বিজেপির।
আরও পড়ুন- মনোনয়ন জমায় ধুন্ধুমার, আক্রান্ত বিজেপি বিধায়ক! বললেন ‘ফের তৃণমূল এলে পাল্টা মারব’
টুইটে একটি ছবি পোস্ট করে বিজেপির তরফে লেখা হয়েছে, 'মমতার সরকার বাংলায় কোনও হিংসামুক্ত জায়গা বাকি রাখেনি। ঠাকুরবাড়িতে ভক্তদের লাঞ্ছিত করেছে তৃণমূলে গুণ্ডারাই। তারা সিআইএসএফের কর্মী ছিলেন না, তারা পশ্চিমবঙ্গের আরএএফের কর্মী!'
Mamata’s government has left no place violence-free in Bengal. The devotees in Thakur Bari were assaulted by the TMC goons.
They were not CISF personnel, they were from West Bengal RAF!https://t.co/rtuC9Pul1Qpic.twitter.com/RAdZfE1vAR— BJP Bengal (@BJP4Bengal) June 12, 2023
গতকাল অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ঠাকুরনগরের গণ্ডগোল ইস্যুতে বিজেপিকে দুষে কেন্দ্রীয় বাহিনীকেই তুলোধনা করেছিলেন। টুইটে ছবি-ভিডিও পোস্ট করে তিনি লিখেছিলেন, 'বিজেপির শান্তনু ঠাকুরকে তীব্র ধিক্কার জানাচ্ছি। সিআইএসএফ-এর কর্মীরা ঠাকুরবাড়ি মন্দিরে তাণ্ডব চালিয়েছেন। জুতো পরে উঠে মন্দির প্রাঙ্গণকে অসম্মান করেছেন। মহিলা ভক্তদের শারীরিকভাবেও লাঞ্ছিত করেছেন। এটা জঘন্য কাজ। তারা রাজনীতির নামে ঠাকুরবাড়ির পবিত্রতা ক্ষুন্ন করেছে। ক্ষমতার লজ্জাজনক প্রদর্শন!'
উল্লেখ্য, গতকাল ঠাকুরনগরের মন্দিরের ফটক বন্ধ করে দেওয়া হয়। ভেঙে ফেলা হয় অভিষেকের কর্মসূচি উপলক্ষ্যে তৈরি হওয়া তোরণ। তৃণমূলের অভিযোগ, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা বিজেপি নেতা শান্তনু ঠাকুরের নেতৃত্বে তৃণমূল কর্মীদের উপর হামলা চালানো হয়। যদিও শান্তনু ঠাকুরের পাল্টা অভিযোগ, অভিষেকের নেতৃত্বে বিজেপির উপর হামলা চালায় তৃণমূল।