শিলিগুড়ির মাটিগাড়ায় একাদশ শ্রেণির এক ছাত্রীকে ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে বলে অভিযোগ। এই নৃশংস খুনের ঘটনায় গ্রেফতার অভিযুক্ত আব্বাসের শাস্তির দাবিতে বিক্ষোভ দেখায় বিজেপি। পুলিশমন্ত্রীর পদত্যাগ দাবি তোলেন বিজেপি বিধায়করা। বিক্ষোভ দেখিয়ে বিধানসভা থেকে ওয়াক আউট করেন পদ্ম বিধায়করা। এরপরই শুভেন্দু অধিকারী ধর্ষকদের কী শাস্তি হওয়া উচিত তার নিদান দেন।
Advertisment
কী বলেছেন শুভেন্দু অধিকারী?
বিজেপি বিধায়কদের বিক্ষোভের সময় বিরোধী দলনেতা বলেন, 'মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের শাসনে নাবালিকারাও সুরক্ষিত নয়। তিনি তৃতীয়বার ক্ষমতায় আসার পর রাজ্যে একের পর এক নাবালিকা নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছে। আর মানুষের চোখে ধুলো দিতে পুলিশ অভিযুক্তদের শুধু গ্রেফতার করে। তার পর তাদের বিরুদ্ধে চার্জশিটও দেয় না আর শাস্তির ব্যবস্থাও করে না।'
পাশাপাশি হাঁসখালি, কালিয়াগঞ্জ ও মাটিগাড়ার ঘটনার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, 'হাঁসখালি থেকে শুরু করে রাজ্যে কোথাও নাবালিকা নির্যাতনে অভিযুক্তদের শাস্তি হয়নি। আমরা ফাঁসি চাই। এই ধরণের নরকের কীটদের বেঁচে থাকার কোনও অধিকার নেই। কালিয়াগঞ্জে অভিযুক্ত জাভেদের শাস্তির ব্যবস্থা করলে মাটিগাড়ার ঘটনা ঘটত না। উলটে আপনার পুলিশ অফিসার মোয়াজ্জেম হোসেনকে দিয়ে মৃত্যুঞ্জয় বর্মনের বুকে গুলি করালেন।'
মহিলাদের সুরক্ষার প্রশ্নে মমতা প্রশাসনের নিন্দা করে শুভেন্দু অধিকারী বলেন, 'পশ্চিমবঙ্গ খুনিদের মুক্তাঞ্চল হয়ে গিয়েছে। পশ্চিমবঙ্গে যোগী আদিত্যনাথ জির মতো যদি কেউ এদেরকে প্রয়োজন হলে এনকাউন্টার করা উচিত। এদের থাকা উচিত না সমাজে। এই সব ঘৃণিত জীব, পাষণ্ড। এদের কোনও হুঁশ নেই।'
আইন প্রণেতা শুভেন্দু অধিকারীর কি আস্থা নেই আইনেই? বৃহস্পতিবার বিধানসভা চত্বরে বিরোধী দলনেতার করা মন্তব্যে এই প্রশ্ন উঠছে। তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেন, 'ধর্ষণের ঘটনায় অভিযুক্তদের পুলিশ রেয়াত করছে না। মাটিগারার ঘটনার পরই দোষীদের গ্রেফতার করা হয়েছে। সরকার আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নিচ্ছে। কিন্তু শুভেন্দুদের মনোভাব স্বৈরাচারী। আইনে ওঁদের ভরসা নেই। ওরা শুধু মেরে দাও, ভেঙে দাওই জানে। গণতন্ত্র ও সমাজের পক্ষে ওঁরাও ক্ষতিকারক।'