গতবছরের তুলনায় এখনও রাজ্যে ডেঙ্গির প্রকোপ বেশি। সোমবার বিধানসভায় নিজেই বলেছিলেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়। আর মঙ্গলবারই ডেঙ্গি নিয়ে বিধানসভায় মুলতুবি প্রস্তাব আনে বিজেপি। পত্রপাট তা খারিজ করে দেন অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। এরপরই ওয়াকআউট করেন পদ্ম দলের বিধায়করা। এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্ধৃতি তুলে ধরে ডেঙ্গি নিয়ে রাজ্য সরকারকে আক্রমণ শানান বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।
টুইটে শুভেন্দু অধিকারী লিখেছেন, 'ডেঙ্গি পরিস্থিতি নিয়ে রাজ্যের শীর্ষ প্রশাসনিক ব্যক্তিদের মন্তব্য রীতিমত উদ্বেগজনক। ঠিক বোঝা যাচ্ছে না ওনারা এরকম দায়িত্বজ্ঞানহীন মন্তব্য করছেন কেন? বিষয়টিকে লঘু করার জন্য নাকি নিজেদের অপদার্থতা ও প্রস্তুতিহীনতা ঢাকবার জন্য? স্বাস্থ্যমন্ত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রীর উদ্দেশ্য হয়তো এর পরে বিএসএফ এর ঘাড়ে দোষ ঠেলে দেওয়া, কেনো তারা ভারত বাংলাদেশ সীমান্তে মশাদের অনুপ্রবেশ ঠেকাতে পারছে না! আর পঞ্চায়েত বোর্ড গঠন না হওয়ায় স্বাস্থ্য দপ্তর কোন কাজটা করে উঠতে পারছে না সেটাই বিস্ময়কর। সরকারি হাপাতালে ডেঙ্গু পরীক্ষার কিটের আকালও কি পঞ্চায়েতের প্রধানরা টেন্ডার আহ্বান করে মেটাবেন? সম্মানীয় মহানাগরিক আবার অর্থনীতিবিদ হয়ে উঠেছেন দেখা যাচ্ছে! আর্থ সামাজিক বিশ্লেষণ করে উনি সমস্যার সন্ধান পেয়ে গেলেন কিন্তু সমাধানের উপায় খুঁজে বের করতে পারলেন না!'
শুধু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই নয়, কলকাতার মহানাগরিক ফিরহাদ হাকিমকেও কটাক্ষ করেছেন শুভেন্দু। ট্যুইটে তিনি লেখেন, 'সম্মানীয় মহানাগরিক আবার অর্থনীতিবিদ হয়ে উঠেছেন। আর্থ-সামাজিক কারণ বিশ্লেষণ করে সমস্যার সন্ধান পেলেও সমাধানের খোঁজ পেলেন না।'
আরও পড়ুন- কিছুটা সুস্থ হতেই কথা বললেন বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য, চিকিৎসকদের কাছে কীসের আর্জি জানালেন?
সোমবার বিধানসভায় অন্য একটি বিষয়ে কথা বলতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্যে এসে পড়েছিল ডেঙ্গি প্রসঙ্গ। মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন, 'আমের ফলন যেমন কোনওবার বেশি, কোনওবার কম, ডেঙ্গিরও তেমন ট্রেন্ড। কোনও বছর কম হয়। কোনওবছর বেশি। গতবছরের তুলনায় এবার ডেঙ্গির প্রকোপ বেশি।' পরিসংখ্যান তুলে ধরে মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায় দাবি করেন যে, 'রাজ্যে এখনও পর্যন্ত ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়েছেন ৪ হাজার ৪০১ জন। নদিয়া ও উত্তর ২৪ পরগনায় সংক্রমণ বেশি। ডেঙ্গি মোকাবিলায় রাজ্য সরকার, সবরকম চেষ্টা করছে। গ্রামাঞ্চলেও ছড়াচ্ছে। কিন্তু এখনও পঞ্চায়েতের বোর্ড গঠন হয়নি। ফলে কাজ করতে পারছেন না জনপ্রতিনিধিরা।'