Advertisment

কোন 'জাদুবলে' নির্বাচনী বন্ডে তৃণমূলের ১২০০ শতাংশ আয় বৃদ্ধি? শুভেন্দু বললেন 'তালিকা আছে'!

এবার বন্ড কাজিয়া

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
centre going to take strict action to curb rampant misuse of crpc and ipc act says suvendu adhikari , বাংলায় সিআরপিসি ও আইপিসি-র অপব্যবহার! কড়া পদক্ষেপের পথে কেন্দ্র, হুঁশিয়ারি শুভেন্দুর

ফের শুভেন্দুর নিশানায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নেতৃত্বাধীন পুলিশ প্রশাসন।

২০২০-২১ ও ২০২১-২২ অর্থবর্ষে আয় ব্যয়ের অডিট রিপোর্ট নির্বাচন কমিশনে জমা দিয়েছে তৃণমূল। সেই অডিট রিপোর্টে দেখা যাচ্ছে ২০২০-২১ অর্থবর্ষে নির্বাচনী বন্ডের মাধ্যমে তৃমমূলের আয় হয়েছিল ৪২ কোটি টাকা। ২০২১-২২ অর্থবর্ষে এই আয় বেড়ে হয়েছে ৫২৮ কোটি ১৪ লক্ষ টাকা।

Advertisment

অবাক করা আয়বৃদ্ধি নিয়ে এবার প্রশ্ন তুললেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তাঁর সাফ দাবি, ' দুর্নীতিতে যুক্ত ব্যবসায়ীরাই তৃণমূলকে এই টাকা দিয়েছে।'

কী বলেছেন শুভেন্দু অধিকারী?

ত্রিপুরায় যাওয়ার পথে এদিন শুভেন্দুবাবু বলেন, 'একটা দল নির্বাচনী বন্ডে ১২০০ শতাংশ আয় বৃদ্ধি করেছে। কোন কোন ব্যবসায়ী দিলো, কোন কোন শিল্পপতি দিলো, আয়করে দেখাতে হবে ওদের। ব্যাবসায়ী সংস্থা যারা দিয়েছে তাদের সেবিকে দেখাতে হবে। একটা মদের কোম্পানি সেবিকে বলেছে যে আমরা তৃণমূলকে নির্বাচনী বন্ডে ৪০ কোটি টাকা দিয়েছি। যে পার্টি ২০২১ সালে যেখানে মাত্র ৪২ কোটি টাকা নির্বাচনী বন্ডের মাধ্যমে পেয়েছিল তৃণমূল, সেখানে কোন যাদুবলে এবছর ৫২৮ কোটি টাকা তুলল? প্রতি মাসের ১-১০ তারিখ স্টেট ব্যাঙ্কে দেখতে পাওয়া যায় কারা নির্বাচনী বন্ড দিয়েছে। যারা টাকা দিয়েছে আমরা তো তাদের তালিকা দিয়ে দেব। সব চোর। বালির খাদান যারা পেয়েছে, পাথরের খাদান যারা চালায়, বেআইনি কাজ যারা করে, যারা কেন্দ্রীয় সরকারের সমগ্র শিক্ষা মিশনের টাকায় স্কুলে নিম্নমানের ব্যাগ, জুতো, ইউনিফর্ম যারা সরবরাহ করে তারা সব টাকা দিয়েছে। আমি ধর্মেন্দ্র প্রধানজিকে বলব, অভিভাবকদের অ্যাকাউন্টে টাকা পাঠাতে। পশ্চিমবঙ্গ সরকারকে টাকা না দিতে। আপাদমস্তক চোর।'

শুভেন্দু অধিকারীর বক্তব্য

কমিশনে জমা অডিট রিপোর্টে তৃণমূল জানিয়েছে, নির্বাচনী বন্ড বাদে দলের সদস্যদের কাছ থেকে চাঁদা, দলের মুখপত্র এবং অন্যান্য অর্থসংগ্রহ কর্মসূচি বাবাদ আয় হয়েছে ১৪ কোটি ৩৬ লক্ষ টাকা।

এছাড়া গত দু'বছরের দলের খরচও বৃদ্ধি হয়েছে বলে জানানো হয়েছে। ২০২০-২১ অর্থবর্ষে তৃণমূলের খরচ হয়েছিল ১৩২ কোটি টাকা। সেখানে ২০২১-২২ অর্থবর্ষে সেই খরচ বেড়ে হয়েছে ২৬৮ কোটি ৩৩ লক্ষ টাকা।

রাজনৈতিক দলগুলির আয়ের ক্ষেত্রে স্বচ্ছতা বজায় রাখতে চালু করা হয়েছিল নির্বাচনী বন্ড। এবার সেই বন্ড নিয়েও প্রশ্ন তোলা হল। কাজিয়ায় তৃণমূল-বিজেপি।

আরও পড়ুন- 'এলি তেলি গঙ্গারাম', শীর্ষ তৃণমূল নেতাকে তাচ্ছিল্য মিঠুন চক্রবর্তীর

tmc Mamata Banerjee Suvendu Adhikari
Advertisment