Advertisment

'কারচুপি শিল্পে'ই বাজিমাত তৃণমূলের, ভয়ঙ্কর তথ্য ফাঁস শুভেন্দুর

দীর্ঘ টুইটে 'কারচুপি শিল্পে'র ব্যাখ্যাও দিয়েছেন শুভেন্দু।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
Suvendu Adhikari explained how TMC won the panchayat polls by rigging , 'কারচুপি শিল্পে'ই বাজিমাত তৃণমূলের, ভয়ঙ্কর তথ্য ফাঁস শুভেন্দুর

ফোঁস করলেন বিরোধী দলনেতা।

পঞ্চায়েতে পদ্ম ফুটবে! চ্যালেঞ্জ ছুড়েছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। কিন্তু ফল বেরতেই বাংলায় জোড়-ফুলের রমরমা। ২০টি জেলা পরিষদই তৃণমূলের দখলে। যদিও এই জয়'কে শাসক দলের 'কারচুপি শিল্প' বলে ব্যাখ্যা করেছেন বিরোধী দলনেতা। দীর্ঘ টুইটে 'কারচুপি শিল্পে'র ব্যাখ্যাও দিয়েছেন শুভেন্দু।

Advertisment

টুইটে কী লিখেছেন শুভেন্দু অধিকারী?

"গ্রামে গঞ্জে 'কচুরিপানা শিল্প' হোক বা না হোক, ভোটের সময় "কারচুপি শিল্প" কে অন্য মাত্রায় নিয়ে গেছে শাসক দল।

মানুষ বোম-বন্দুক ধমক-চমক উপেক্ষা করে ভোটে লড়লেন, ভোটের দিনের সন্ত্রাসের কিছুটা প্রতিরোধও করলেন। কিন্তু গণনা কেন্দ্রে যে লুটতরাজ সংগঠিত হলো প্রশাসনের দ্বারা, সেখানে তো জনগনের প্রবেশ নিষেধ। কতিপয় বিরোধী প্রার্থী ও কাউন্টিং এজেন্ট বনাম দলদাস পুলিশ প্রশাসন ও শাসক দলের স্থানীয় মাতব্বরগণ, যাদের অবাধ প্রবেশের জন্য ঢালাও প্রবেশপত্র/আই কার্ড বিলি করা হয়েছিল।

গণনা কেন্দ্রে পুরো সিস্টেম কাজ করছিলো এই উদ্দেশ্যে যে কিভাবে বিরোধীদের কোণঠাসা করা যায় ও চাপে ফেলা যায়:-

# সকালে গণনা ইচ্ছে করে ২-৩ ঘণ্টা দেরিতে শুরু করা হয়, এবং ঘন ঘন বিনা কারণে গণনা বিলম্বিত করা হয় যাতে, যখন পঞ্চায়েত সমিতি ও জেলা পরিষদ আসনের গণনা শুরু হবে, তখন যেন মধ্য রাত পেরিয়ে যায়।

# গ্রাম পঞ্চায়েতের ফলাফল হয়ে যাওয়ার পর সেই সব এলাকার প্রার্থীরা তাদের কাউন্টিং এজেন্টদের নিয়ে বেরিয়ে যেতে বাধ্য হন। তাই যখন পঞ্চায়েত সমিতি ও জেলা পরিষদের আসনের গণনা মধ্য রাতে চলছে, তখন হাতে গোনা কয়েকজন বিরোধী প্রার্থী উপস্থিত রয়েছেন।

আরও পড়ুন- পঞ্চায়েতে মতুয়া গড়ে সবুজ-সুনামি! কোন মাস্টারপ্ল্যানে জোড়াফুলে কাত পদ্ম?

গণনা কেন্দ্রের বাইরে ও ভেতরে চলছে ব্যাপক সন্ত্রাস। বিরোধী প্রার্থীদের হুমকি দেওয়া হয়, হয় ভুলভাল ফলাফল মেনে নিন নয়তো বাড়ি ফিরবেন কি করে।

একটা বিষয় লক্ষণীয় যেখানে গ্রাম পঞ্চায়েতের ফল বিরোধীদের পক্ষে গেছে, সেখানেই নাকি শাসক দল অপর দুই স্তরে ব্যাপক ভোট পেয়েছে ! হাস্যকর।

অনেকেই পঞ্চায়েত নির্বাচন, তার খুঁটি নাটি সম্বন্ধে অবগত নন। বিশেষ করে গণনা কেন্দ্রের ভেতরের পরিবেশ সম্বন্ধে তো একেবারেই নন।

এই বার বিরোধীদের দাবি ছিল, পঞ্চায়েতের তিনটি স্তরের গণনা এক সঙ্গে সমান্তরাল ভাবে সম্পন্ন করানোর, অর্থাৎ গ্রাম পঞ্চায়েত, পঞ্চায়েত সমিতি ও জেলা পরিষদ আসনের গণনা একই সাথে করতে হবে, কিন্তু এই দলদাস প্রশাসন রাজি হয়নি। কারণ স্পষ্ট, গণনার নামে পঞ্চায়েত সমিতি ও জেলা পরিষদ আসনে পুকুর চুরি করা।

এই ১১ তারিখ যদি গ্রাম পঞ্চায়েত, পঞ্চায়েত সমিতি ও জেলা পরিষদ আসনের গণনা একই সঙ্গে হতো, তৃণমূল অন্তত ৫ টি জেলা পরিষদ হারাতো এবং প্রচুর পঞ্চায়েত সমিতিতে বিরোধীরা বোর্ড গঠন করতো।"

panchayat election 2023 abhishek banerjee Suvendu Adhikari panchayat election result 2023 bjp tmc Mamata Banerjee
Advertisment