স্পেনে যাওয়ার পথে দুবাই বিমানবন্দরে হঠাৎই দেখা হয়েছে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী ও শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্টের। নভেম্বরে আসন্ন বাণিজ্য সম্মেলনে রনিল বিক্রমাসিংঘেকে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এক্সে নিজেই সেকথা জানিয়েছেন মমতা। জানা গিয়েছে, ভারতের মোদী বিরোধী জোটের নেতৃত্ব নিয়েও নাকি তৃণমূল নেত্রীকে প্রশ্ন করেছেন কৌতুহলী রনিল। কিন্তু উভয়ের মধ্যে বিস্তারিত কী কথা হয়েছে? তা পুরোটা এক্সবার্তায় খোলসা করেছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।
এক্সে কী লিখেছেন শুভেন্দু?
দুবাই বিমানবন্দরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও রনিল বিক্রমাসিংঘের কথোপকথন এদিন তুলে ধরেছেন শুভেন্দু অধিকারী। তবে সম্পূর্ণটাই অনুমানভিত্তিক বলে জানিয়েছেন বিরোধী দলনেতা।
কথোপকথনের মত করেই শুভেন্দু লিখেছেন-
'শ্রীলঙ্কার রাষ্ট্রপতি রনিল বিক্রমাসিংঘে - আমি শুনেছি যে আপনি আপনার রাজ্যকে শ্রীলঙ্কার মতো অর্থনৈতিক সংকটের দিকে নিয়ে যাচ্ছেন?'
'মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় - আপনি যদি আমাকে গাইড করতে পারেন কিভাবে বাজার থেকে আরও টাকা ধার করা যায়, তাহলে আমি আপনাকে পরবর্তী বেঙ্গল গ্লোবাল বিজনেস সামিটে যোগ দেওয়ার জন্য আমন্ত্রণ জানাব।'
'রনিল বিক্রমাসিংঘে- কিন্তু আমরা বিনিয়োগ করার মতো অবস্থায় নেই, সামিটে যোগ দিয়ে কী ভালো হবে?'
'মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় - চিন্তা করবেন না, আপনি এসে মাত্র ২-৩ দিনের জন্য উপভোগ করুন এবং একটি মৌ স্বাক্ষর করুন। যাইহোক সবাই এসে মৌ সাক্ষর করে এবং কেউই বিনিয়োগ করে না। আমি শুধু ভালো ভালো শিরোনাম নিয়ে উদ্বিগ্ন।'
আরও পড়ুন- ‘ওহ মাই গড’, হাসতে হাসতে বললেন মমতা! কী এমন প্রশ্ন করেছিলেন শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট?
গত বছরই চরম আর্থিক দুরাবস্থার সম্মুখীন হয়েছিল ভারতের প্রতিবেশী দ্বীপ রাষ্ট্রটি। ঋণে জর্জরিত শ্রীলঙ্কা দেউলিয়া হয়েছিল। নাভিশ্বাস উঠেছিল সেদেশের মানুষদের। প্রতিবাদে দেশজুড়ে বিক্ষোভ ছড়ায়। রাজাপক্ষ জামানার অবসান ঘটে। রাষ্ট্রক্ষমতা যায় রনিল বিক্রমাসিংঘের হাতে। এহেন দেশের প্রেসিডেন্টকে বিশ্ববঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলনে মমতার আমন্ত্রণের যৌক্তিকতা নিয়ে তাই কটাক্ষের সুরে প্রশ্ন তুলেছেন শুভেন্দু অধিকারী।