খোদ বিধানসভায় সোমবারের রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে বেনিয়মের আশঙ্কা গেরুয়া শিবিরের। এব্যাপারে রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিকের দ্বারস্থ হয়েছিলেন বিজেপির প্রতিনিধিরা। ''বাংলার ভোট অবাধ, শান্তিপূর্ণ হতেই পারে না। অবজার্ভারকে সব বলেছি।'' নির্বাচনী পর্যবেক্ষকের সঙ্গে দেখা করার পর সাংবাদিকদের এমনই বলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। রাষ্ট্রপতি নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বিধানসভার নিরাপত্তা নিয়েও আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন শুভেন্দু।
আগামিকাল রাষ্ট্রপতি নির্বাচন। রাজ্য বিধানসভার কক্ষে পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দেবেন সাংসদ-বিধায়করা। এনডিএ জোটের রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী দ্রৌপদী মুর্মু। অন্যদিকে, বিরোধীদের রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী যশবন্ত সিনহা। রাষ্ট্রপতি হওয়ার দৌড়ে অনেকটাই এগিয়ে আদিবাসী নেত্রী দ্রৌপদী মুর্মু। তবে খোদ বিধানসভার ভিতরে রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের আয়োজন করা হলেও স্বস্তিতে নেই বিজেপি। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বিধানসভার নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন।
এমনিতেই বিধানসভায় সোমবার যে ঘরে রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের ভোট হবে সেখানে মোবাইল, পেন নিয়ে ঢোকা বারণ রয়েছে। তবে শুভেন্দু অধিকারীর আশঙ্কা সেই নিয়ম মানবে না তৃণমূল। শনিবার সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে নন্দীগ্রামের বিজেপি বিধায়ক বলেন, ''গত ৫-৬ বছরে তৃণমূলের আমলে বিধানসভার নিরাপত্তারক্ষী হিসেবে যাঁদের নিয়োগ করা হয়েছে তাঁদের অনেককেই বারুইপুরে তৃণমূলের ২১ জুলাইয়ের প্রস্তুতি সভায় দেখা গিয়েছে। তাঁদের সাহস হবে না তৃণমূল কোম্পানির মালিক মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বা তৃণমূলের মন্ত্রী, বিধায়কদের থেকে মোবাইল চেয়ে নেওয়ার। অবজার্ভার নিরপেক্ষ নিরাপত্তা রক্ষী মোতায়েন করবেন, এটাই আমরা চাই।''
আরও পড়ুন- বিরাট বদল আবহাওয়ায়, সোমবার থেকেই মুষলধারে বৃষ্টি জেলায়-জেলায়
এরই পাশাপাশি রাষ্ট্রপতি নির্বাচনেও কারচুপির আশঙ্কা বিরোধী দলনেতার। এপ্রসঙ্গে শুভেন্দু বলেন, ''বিধানসভার গত সেশনে আমরা ৭ জন বাইরে ছিলাম। রাজ্যপালকে আচার্য পদ থেকে সরানোর বিল এসেছিল বিধানসভায়। আমাদের ৫৭ জন ভোট দিয়েছিলেন। বিকেল সাড়ে ৩টেয় ভোটের রেজাল্ট ঘোষণা হয়েছিল ৪০ বলে। আমি বলেছিলাম গণনায় কারচুপি হয়েছে। পরে রাত ৮টায় বিধানসভা থেকে বলা হল আমাদের ভুল ছিল, ওটা ৫৫ হবে। পরের দিন দেখা গিয়েছে আমি ছিলাম না, কিন্তু আমার নামে ভোট পড়েছে, মিহির গোস্বামীর নামেও ভোট পড়েছে। বাংলায় কোনও ভোটই অবাধ হতে পারে না। অবজার্ভারকে সব বলেছি।''