যাদবপুরে ছাত্রমৃত্যুর প্রতিবাদে গত সপ্তাহে বিশ্ববিদ্যালয়ের তিন নম্বর গেটের বাইরে বিজেপি যুব মোর্চার সভায় যোগ দিয়েছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। সভার পর উত্তেজনা ছড়ায়। অভিযোগ, একটি সংগঠনের শুভেন্দু অঝধিকারীকে কালো পতাকা দেখানো হয়। সেই সময়ে উপস্থিত বিজেপির যুব মোর্চা, এবিভিপি কর্মীদের সঙ্গে ওই সংগঠনের হাতাহাতি হয়। তাঁর বিরুদ্ধে হামলার অভিযোগ তুলে যাদবপুরে জিআরপিতে অভিযোগ করেছিলেন বিরোধী দলনেতা। সেই অভিযোগ জিআরপি'র তরফে কলকাতা পুলিশে হস্তান্তরিত করা হয়েছিল। সেই অভিযোগের প্রেক্ষিতেই মামলা রুজু করে কলকাতা পুলিশ। এবার বিরোধী দলনেতাকে নোটিস পাঠালো যাদবপুর থানা।
Advertisment
জানা গিয়েছে, বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে তদন্তকারী অফিসারের সঙ্গে দেখা করতে বলা হয়েছে। পুলিশ সূত্রে খবর, কী কী ঘটেছিল সেদিন, বিস্তারিত জানতেই বিরোধী দলনেতাকে ডেকে পাঠানো হয়েছে।
এদিকে, যাদবপুরকাণ্ডে এনআইএ তদন্ত চেয়ে ইতিমধ্যেই কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন রাজ্যের শুভেন্দু অধিকারী। মঙ্গলবার বিধানসভার অধিবেশনেও একই দাবি জানানো হয় বিজেপির তরফে। বিরোধী দলনেতা বিধানসভা অধিবেশনে বলেন, 'প্রাক্তন উপাচার্য অভিজিৎ চক্রবর্তী সিসিটিভি লাগাতে চেয়েছিলেন বলে আমাকে জানিয়েছেন। কেন তাঁর মেয়াদ শেষের আগে কেন সরানো হল? মাদক পাচার চক্র এবং দেশ বিরোধী শক্তিদের সরাতে কী ব্যবস্থা নেওয়া হবে? এই ঘটনার পর সরকার কী ব্যবস্থা নেবে?' জবাবে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু বলেন, 'রাঘবন কমিটি সেই সুপারিশ এবং আদালতের নির্দেশ সব বিশ্ববিদ্যালয়ে পাঠানো হয়েছে। এর পরেও দেশের সব বিশ্ববিদ্যালয়ে র্যাগিং চলছে। খড়গপুরে র্যাগিং হয়েছে। আমাদের রাজ্যে নতুন রাজ্যপাল এসেছেন। তিনি নিজের ইচ্ছামতো উপাচার্য বসাচ্ছেন।' পাল্টা বিজেপি বিধায়করা বলে ওঠেন, 'আপনি র্য়াগিংয়ের বিষয়ে কথা বলুন।' এরপরই বিধানসভা কক্ষ থেকে ওয়াকআউট করেন পদ্ম বিধায়করা।
বিজেপি মুখপাত্র রাজর্ষি লাহিড়ীও যাদবপুরের এ বিষয়ে জনস্বার্থ মামলা করেছেন। আবেদন করা হয়েছে যে, বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে ইউজিসি-র গাইডলাইন মানতে নির্দেশ দিক উচ্চ আদালত। এ বিষয়ে প্রধান বিচারপতি ডিভিশন বেঞ্চের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে মামলা দায়েরের অনুমতি মিলেছে।