কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে নন্দীগ্রাম দিবস পালনের অনুমতি পেয়েছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। আর নন্দীগ্রামের শহিদ মঞ্চ থেকেই নাম না করে মমতা-অভিষেককে বেনজির তোপ দাগলেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক। হুঁশিয়ারি দিয়ে বললেন, "সিপিএমকে সাফ করেছি, পিসি-ভাইপোকে গ্যারাজ করব।"
Advertisment
আজ সেই অভিশপ্ত দিন। বাম জমানায় এই ১৪ মার্চ পুলিশের গুলিতে প্রাণ হারিয়েছিলেন নন্দীগ্রামের জমি অধিকার রক্ষা কমিটির ১৪ জন। প্রতিবছর এই দিনটা নন্দীগ্রাম শহিদ দিবস পালন করে তৃণমূল কংগ্রেস। ২০২০ সালে শুভেন্দু অধিকারী তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেন। তার পর থেকে শহিদ দিবস পালন নিয়ে তৃণমূল-বিজেপি তরজা চলছে।
এদিন শুভেন্দু বলেন, "নন্দীগ্রামের আন্দোলন কোনও নির্দিষ্ট নেতা-নেত্রীর আন্দোলন ছিল না। এই আন্দোলন ছিল জনগণের। তৃণমূল এই এলাকা, শহিদ দিবস দখল করার চেষ্টা করেছিল। তিনি আরও বলেন, এখানে সবার অধিকার আছে। সব রাজনৈতিক দলের আছে। সব মানুষের আছে। কী এমন যুদ্ধ এখানে, কেন্দ্রীয় বাহিনী, হাইকোর্ট, সাজসাজ রব, যুদ্ধ হবে? মানুষ খেতে পায় না, চাকরি পায় না। এই গ্রামের ১০০ ছেলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জন্য কর্ণাটকে, গুজরাটে গিয়ে না খেয়ে ফ্লাইওভারের নীচে রাত কাটায় পরিযায়ী শ্রমিকের মতো।"
এবার তিনি চরম আক্রমণ শানিয়ে বলেন, "পশ্চিমবঙ্গের গণতন্ত্র ধ্বংস। এমনিতেও ঘরে ঢুকিয়ে দিয়েছি। বাকি যা আছে, সাফ করব। শহিদ বেদীকে সামনে রেখে বলে গেলাম। সিপিএমকে সাফ করেছি, এবার পিসি-ভাইপোকে গ্যারাজ করব। আগামী বছর দেখা হবে, ভাইপো ঘরে থাকবে নাকি ভিতরে থাকবে। ২০২৪ সালের ১৪ মার্চ দেখা হবে। যাঁরা যা যা করছে চন্দ্রগুপ্তর ডাইরিতে লেখা থাকল। লক্ষ্ণণ শেঠদের যা অবস্থা হয়েছে, আপনাদেরও অবস্থা ভবিষ্যতে তাই হবে।"