/indian-express-bangla/media/media_files/2025/03/01/60kg5W8xEB2Lsd1jcw1l.jpg)
Suvendu adhikari : শুভেন্দু অধিকারী।
নিয়োগ দুর্নীতির মামলায় এবার ED- এর হাতে গ্রেপ্তার হয়েছেন মুর্শিদাবাদের তৃণমূল বিধায়ক জীবন কৃষ্ণ সাহা। সিবিআই-এর পর এবার ইডির হাতে জীবনকৃষ্ণের গ্রেফতারি নিয়ে বিস্ফোরক অভিযোগ করলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। পার্থ চট্টোপাধ্যায়, মানিক ভট্টাচার্যদের নিয়েও অভিযোগের 'ফুলঝুরি' নন্দীগ্রামের BJP বিধায়কের।
শুভেন্দু অধিকারী এদিন বলেন, " জীবনকৃষ্ণ সাহা ছিলেন পার্থ চ্যাটার্জি, ভাইপো, মানিক ভট্টাচার্যদের বড় এজেন্ট। বীরভূম এবং মুর্শিদাবাদ জেলার তালিকা তৈরি করা, টাকা তোলা এবং একটা অংশ রাখা... এইসব কাজটাই করতেন জীবনকৃষ্ণ সাহা। আমি অনেকবারই বলেছি জীবনকৃষ্ণ সাহার কাছে পড়ে থাকলে শুধু হবে না। কারণ জীবনকৃষ্ণ সাহা কান্দি, নবগ্রাম,খড়গ্রামের বিধায়কদের দিয়ে সেইসব এলাকা থেকে টাকা তোলা এবং সেই সব এলাকায় চাকরি পাইয়ে দেওয়ার বন্দোবস্তটা করেছেন। কান টেনেছেন ঠিক আছে, এবার মাথাকেও টানতে হবে। "
বিরোধী দলনেতার কথায়, " এর আগে এদের যখন গ্রেফতার করা হয় তখন কিন্তু কোন নির্বাচন ছিল না। মূলত কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশেই সেই গ্রেফতারি হয়েছিল। এমনকি চোর সরকার সেই গ্রেফতারি এড়াতে সুপ্রিম কোর্টে পর্যন্ত গিয়েছিল। সুপ্রিম কোর্ট সেই নির্দেশে স্থগিতাদেশ দেয়নি। এই দুর্নীতি তদন্ত সরাসরি হাইকোর্টের মনিটরিং-এ হচ্ছে। হাইকোর্ট একটি সিট বানিয়ে দিয়েছিল। এমনকি এই তদন্তের কে নেতৃত্ব দেবেন সেটাও সিবিআই হাতে ছিল না। সিবিআই কে তিনটের নাম জমা দিতে বলেছিল হাইকোর্ট। তার মধ্যে থেকেই একজনকে বেছে নেওয়া হয়।"
এদিনও বাড়িতে ইডি হানা দেওয়ার পর তৃণমূল বিধায়ক জীবন কৃষ্ণ সাহা তার মোবাইল ফোন ছুঁড়ে পুকুরে ফেলে দেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন। যদিও সেই ফোন পরে উদ্ধার করেছে ইডি। এদিন সেই ঘটনা প্রসঙ্গে শুভেন্দু অধিকারী বলেছেন, " সবাই দৃশ্যগুলো দেখছে। এর আগে পাঁচিলে ঝোলা,পুকুরে ফেলা, তারপর পাম্প মেশিন বসিয়ে পুকুর থেকে মোবাইল তোলা... আজকেও কিভাবে ছুটে পালাচ্ছিল সবাই দেখেছে। শাসক দল যখন এটা বলছে যে এই গ্রেফতারি নিয়ে রাজনীতি হচ্ছে, তখন তো তাদের এটাও বলা উচিত যে কেন জীবনকৃষ্ণ সাহা আজ পালাতে গেল!!!"