Suvendu Adhikari On Mamata : "রোম যখন পুড়ছিল, সম্রাট নিরো তখন বাঁশি বাজাচ্ছিলেন ! রাজ্যে যখন সাম্প্রদায়িক হিংসার আগুন জ্বলছে, আপনিও গান গাইবেন সেটাই স্বাভাবিক... তবে গানের সুরটা বেসুরো হয়ে গেলো "! নববর্ষে মমতাকে বেলাগাম আক্রমণ বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর।
মুর্শিদাবাদ-ভাঙড় সহ বাংলার দিকে দিকে ওয়াকফ বিক্ষোভ। এর মাঝেই আজ নববর্ষে তৃণমূলকে খোঁচা দিয়ে বিশেষ বার্তা বিরোধী দলনেতার। নববর্ষের সকালে তমলুকে শোভাযাত্রায় অংশ নেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। চৈতন্য মহাপ্রভুর মন্দির থেকে বর্গভীমা মন্দির পর্যন্ত আয়োজন করা হয় শোভাযাত্রার। নববর্ষের সকালে রাজ্যবাসীর প্রতি শুভেন্দুর আবেদন, 'সবাই নিজের হাল ফেরানোর সঙ্গে সঙ্গে রাজ্যের হাল ফেরানোর জন্য প্রার্থনা করুন'। পাশাপাশি তিনি বলেন সবাই যখন হাল খাতা নিয়ে মন্দিরে যাচ্ছেন তখন আমি হাল ফেরানোর খাতাতে সিঁদুর লাগিয়ে নিয়ে এলাম'।
আজ পয়লা বৈশাখ। বাংলা নববর্ষ উপলক্ষ্য আনন্দে মাতোয়ারা গোটা বাংলা। উৎসব আবহে বঙ্গবাসীকে শুভেচ্ছা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। শুভেচ্ছা বার্তায় তিনি আশার আলো, ঐতিহ্যের মর্যাদা এবং সামাজিক সম্প্রীতির বার্তা দিয়েছেন। “নববর্ষের আশীর্বাদে আলোকিত হোক সকলের জীবন। শান্তি ও সম্প্রীতির বন্ধনে আবদ্ধ থাকুক বাংলার প্রতিটি মানুষ।” ‘বাংলা দিবস’-এর শুভেচ্ছা জানিয়ে এক্সে তিনি লিখেছেন, ‘আমি বাংলায় গান গাই...। বাংলা দিবসে সকল নাগরিককে জানাই শুভনন্দন এবং ছোট ছোট ভাইবোনেদের জানাই অনেক শুভেচ্ছা। আরও বিকশিত হোক রাজ্যের ঐতিহ্যময় সংস্কৃতি, আরও সুদৃঢ় হোক রাজ্যবাসীর ভ্রাতৃত্ব-বন্ধন।’
রাজ্যবাসীকে মমতার শুভেচ্ছা নিয়ে বেনজির নিশানা বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর। তিনি সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম লিখেছেন, "রোম যখন পুড়ছিল, সম্রাট নিরো তখন বাঁশি বাজাচ্ছিলেন ! রাজ্যে যখন সাম্প্রদায়িক হিংসার আগুন জ্বলছে, আপনিও গান গাইবেন সেটাই স্বাভাবিক... তবে গানের সুরটা বেসুরো হয়ে গেলো "! নাগরিকদের 'শুভনন্দন' জানানোর আগে যে সকল 'বরাহ-নন্দন' দাঙ্গা করছে, সরকারি সম্পত্তি পোড়াচ্ছে, খুন করছে তাদের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ গ্রহণ করলে রাজ্যে নাগরিকরা নিজেদের সুরক্ষিত মনে করত। আর বর্তমান পরিস্থিতির প্রেক্ষাপটে পশ্চিমবঙ্গকে ভারতবর্ষের অন্তর্ভুক্ত করার প্রচেষ্টার জন্য শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের অবদান অনস্বীকার্য। ওনার ঐতিহাসিক উদ্যোগের ফলে ১৯৪৭ সালের ২০শে জুন তারিখে বঙ্গীয় প্রাদেশিক আইনসভায় ভোটাভুটির মাধ্যমে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য প্রতিষ্ঠা করার সিদ্ধান্তে সিলমোহর পড়েছিল। তাই ২০শে জুন তারিখেই 'পশ্চিমবঙ্গ দিবস' পালিত হবে। আর ইতিহাস মুছে ফেলার আপনার অভিপ্রায় কখনো পূরণ হবে না, রাজ্যের নাম পশ্চিমবঙ্গই থাকবে, কারণ 'পশ্চিম' শব্দটা রক্তাক্ত ইতিহাসের স্মৃতি বহন করে, যা আপনি ভুলিয়ে দিতে চাইছেন, কিন্তু বিদ্রুপাত্মকভাবে আপনার রাজনৈতিক কর্মকান্ড সেই বেদনাদায়ক অধ্যায়ের স্মৃতি আরও বেশি প্রাসঙ্গিক করে তুলছে আজকের দিনে। আগামী বছর থেকে পশ্চিমবঙ্গে সরকারি ভাবেই ২০শে জুন তারিখেই 'পশ্চিমবঙ্গ দিবস' পালিত হবে।এদিকে আজ নববর্ষের দিন আরজি কর থেকে চাকরি বাতিল মুর্শিদাবাদ কাণ্ড একের পর এক ঘটনায় পথে নেমে প্রতিবাদে সামিল রাজ্য বিজেপির।