সিএএ কার্যকরের দাবিতে বঙ্গ বিজেপিতে ক্ষোভ-বিক্ষোভ রয়েছে। তার মাঝেই এবার বাংলায় এনআরসি লাগুর দাবিতে সরব হলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তার কারণও ব্যাখ্যা করলেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক। জানালেন, স্রেফ ধর্মীয় বা সাম্প্রদায়িক দৃষ্টিতে এনআরসিকে দেখলে হবে না। জাতীয় সুরক্ষার স্বার্থেই ভারতের সীমান্তবর্তী রাজ্যগুলিতে জাতীয় নাগরিকপঞ্জি প্রয়োজন বলে জানান শুভেন্দু অধিকারী।
এ দিন নদিয়ার ধুবুলিয়ায় দলীয় কর্মসূচি ছিল শুভেন্দুর। সভা শেষে বিরোধী দলনেতা বলেন, 'এনআরসি কার্যকর হওয়া প্রয়োজন। এনআরসি না হলে বামলাদেশ থেকে জলপথে সন্ত্রাসবাদীরা পশ্চিমবঙ্গের মধ্যে দিয়ে ভারতে ঢুকে পড়ছে। সেটা রোধ করতে গেলে এনআরসির প্রয়োজন। আর জন্মনিয়ন্ত্রণ বিলও দরকার রয়েছে। এনআরসি ধর্মী বা সাম্প্রয়াদিক বিষয় নয়। বাংলাদেশ থেকে যাঁরা এ দেশে চলে এসেছেন তাঁদের স্বার্থে এটা করা উচিত। এনআরসি না হলে ডেমোগ্রাফিক্যাল চেঞ্জ হয়ে যাবে। যার আশঙ্কা উত্তর ২৪ পরগনা ও নদিয়ায় সবচেয়ে বেশি। আমার মতে সীমান্তবর্তী রাজ্য পাঞ্জাব, জম্মু-কাশ্মীর, অসম, বাংলাতে এনআরসি হওয়া উচিত।'
কেন্দ্রের তথ্য অনুসারে সিএএ কার্যকরের পর এনআরসি হবে। সিএএ আইন পাশ হলেও তার বিধি এখনও তৈরি হয়নি। ১৯-য়ের লোকসভা, ২১-য়ের বিধানসভায় সিএএ কার্যকরা হওয়ার কথা বলেই ভোট চেয়েছিল বিজেপি। কিন্তু, সময় এগোলেও নয়া আইন আর বাস্তবের মুখ দেখেনি।
ক্ষুব্ধ বাংলায় মতুয়া সহ উদ্বাস্তুরা। মূলত এঁরাই এখন এ রাজ্যে গেরুয়া ভোট ব্যাংক। আশ্বাসপূর্ণ না হওয়ায় অসন্তোষ বাড়ছে তাঁদের মধ্যে। ফলস্বরূপ, রাণাঘাটের বিজেপি বিধায়ক অসীম সরকার আবার কিছুটা হুঁশিয়ারির সুরেই বলেছেন যে, ২০২৪-এর আগে সিএএ কার্যকর না হলে তিনি লোকসভা ভোটে প্রচারে বেরোতে পারবেন না।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, দলের মধ্যে সিএএ নিয়ে অসন্তোষ রয়েছে। যার রাজনৈতিক সুবিধা নিচ্ছে
তৃণমূল। এবার এনআরসির দাবি তুলে বঙ্গ বিজেপির সেই ক্ষোভ অন্য অভিমুখে ঘোরাতে মরিয়া শুভেন্দু অধিকারী।