মা কালী নিয়ে তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্রের মন্তব্য ঘিরে শোরগোল পড়েছে। তবে, দলীয় সাংসদের মন্তব্যের দায় নেয়নি রাজ্যের শাসক দল। উল্টে, ওই মন্তব্য ব্যক্তিগত বলে দূরত্ব তৈরিতে তড়িঘড়ি টুইট করেছে জোড়া-ফুল শিবির। কিন্তু, মহুয়ার মন্তব্যকে পুঁজি করেই ফায়দা তুলতে সচেষ্ট বিজেপি। কৃষ্ণনগরের সাংসদকে গ্রেফতারের দাবি তুলেছেন বঙ্গ বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। অন্যদিকে কড়া প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তৃণমূলকে কটাক্ষের সঙ্গেই তাঁরনজরে পুলিশের ভূমিকা। পুলিশকে সক্রিয় হতে সময়ও বেঁধে দিয়েছেন তিনি। তা না হলেই আদালতের দ্বারস্থ হওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন নন্দীগ্রামের পদ্ম বিধায়ক।
Advertisment
কালী নিয়ে মহুয়ার মন্তব্য ইস্যুতে ছেড়ে কথা বলা হবে না বলে জানিয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী। বুধবার তিনি বলেন, 'বাংলার এক কুলাঙ্গার সাংসদের মন্তব্যকে তাঁর রাজনৈতিক দল কী ব্যাখ্যা করল বা পদক্ষেপ করবে তা নিয়ে আমি কিছু বলব না। কিন্তু, মা কালী হিন্দু সনাতনীদের কাছে শক্তির প্রতীক। ইতিমধ্যেই শয়ে শয়ে এফআইআর হচ্ছে। আমি পুলিশকে বলব নূপুর শর্মার ক্ষেত্রে যে পদক্ষেপ হয়েছে, এক্ষেত্রেও তার থেকেও যেন বেশি হয়। কারণ এক যাত্রায় পৃথক ফল হবে না। আমরা পুলিশের ভূমিকা আগামী ১০দিন ধরে দেখব। কিছু না হলেই পুলিশের বিরুদ্ধে নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগে কোর্টে যাব। কারণ সাংসদ যা বলেছেন তা মারাত্মকভাবে হিন্দু সনাতনীদের ধর্মীয় বিশ্বাসের উপর আঘাত।'
তামিল পরিচালক সীনা মণিমেকাইলার তথ্যচিত্রে কালীর পোস্টার ঘিরে গত কয়েকদিন থেকেই বিতর্ক তুঙ্গে। পরিচালককে গ্রেফতারের দাবি উঠেছে। উত্তরপ্রদেশ, দিল্লিতে এফআইআর-ও দায়ের হয়েছে। মঙ্গলবার এক অনুষ্ঠানে সেই বিতর্কের প্রেক্ষিতেই মুখ খুলেছিলেন তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র। তিনি বলেছিলেন, 'কেউ যদি ভুটান বা সিকিমে যান, দেখবেন তাঁরা সকালে পুজোর সময় দেবদেবীকে হুইস্কি দেন। কিন্তু, আপনি যদি উত্তরপ্রদেশে গিয়ে ভগবানকে প্রসাদ হিসেবে হুইস্কি দিচ্ছেন বলেন, তবে তাঁরা সেটাকে ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাত বলবেন।'
Advertisment
মহুয়ার এই বক্তব্যের ভিডিও-ই ভাইরাল হয়। নিন্দায় সরব হয় বিজেপি। এরপরই ওই রাতেই টুইট করে তৃণমূল। দলীয় সাংসদের মন্তব্য দলের নয় বলে দাবি করা হয়। টুইটে লেখা হয়েছে, 'দেবী কালী নিয়ে মহুয়া মৈত্রের করা মন্তব্য তাঁর ব্যক্তিগত এবং কোনও ভাবেই দল দ্বারা অনুমোদিত নয়৷ সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেস এমন মন্তব্যের তীব্র নিন্দা করে।'
The comments made by @MahuaMoitra at the #IndiaTodayConclaveEast2022 and her views expressed on Goddess Kali have been made in her personal capacity and are NOT ENDORSED BY THE PARTY in ANY MANNER OR FORM.
All India Trinamool Congress strongly condemns such comments.
— All India Trinamool Congress (@AITCofficial) July 5, 2022
দলের টুইটের পরই পাল্টা টুইটে তার জবাব দিয়েছেন মহুয়া। লিখেছেন, 'আপনাদের সকলের কাছে মিথ্যে বললেই আপনাকে ভালো হিন্দু বানাবে না। আমি কখনই কোনও ফিল্ম বা পোস্টারকে সমর্থন করিনি বা ধূমপান শব্দটি উল্লেখ করিনি। তারাপীঠে মা কালীকে ভোগ হিসেবে কী খাবার ও পানীয় দেওয়া হয়। জয় মা তারা।'
To all you sanghis- lying will NOT make you better hindus. I NEVER backed any film or poster or mentioned the word smoking.
Suggest you visit my Maa Kali in Tarapith to see what food & drink is offered as bhog. Joy Ma Tara
মহুয়ার কালী মন্তব্য: শুভেন্দুর কড়া নজরে পুলিশের ভূমিকা, বেঁধে দিলেন সময়সীমা
'আমি পুলিশকে বলব নূপুর শর্মার ক্ষেত্রে যে পদক্ষেপ হয়েছে, এক্ষেত্রেও তা যেন হয়। কারণ একযাত্রায় পৃথক ফল হবে না।'
শুভেন্দুর কড়া তোপ।
মা কালী নিয়ে তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্রের মন্তব্য ঘিরে শোরগোল পড়েছে। তবে, দলীয় সাংসদের মন্তব্যের দায় নেয়নি রাজ্যের শাসক দল। উল্টে, ওই মন্তব্য ব্যক্তিগত বলে দূরত্ব তৈরিতে তড়িঘড়ি টুইট করেছে জোড়া-ফুল শিবির। কিন্তু, মহুয়ার মন্তব্যকে পুঁজি করেই ফায়দা তুলতে সচেষ্ট বিজেপি। কৃষ্ণনগরের সাংসদকে গ্রেফতারের দাবি তুলেছেন বঙ্গ বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। অন্যদিকে কড়া প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তৃণমূলকে কটাক্ষের সঙ্গেই তাঁরনজরে পুলিশের ভূমিকা। পুলিশকে সক্রিয় হতে সময়ও বেঁধে দিয়েছেন তিনি। তা না হলেই আদালতের দ্বারস্থ হওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন নন্দীগ্রামের পদ্ম বিধায়ক।
কালী নিয়ে মহুয়ার মন্তব্য ইস্যুতে ছেড়ে কথা বলা হবে না বলে জানিয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী। বুধবার তিনি বলেন, 'বাংলার এক কুলাঙ্গার সাংসদের মন্তব্যকে তাঁর রাজনৈতিক দল কী ব্যাখ্যা করল বা পদক্ষেপ করবে তা নিয়ে আমি কিছু বলব না। কিন্তু, মা কালী হিন্দু সনাতনীদের কাছে শক্তির প্রতীক। ইতিমধ্যেই শয়ে শয়ে এফআইআর হচ্ছে। আমি পুলিশকে বলব নূপুর শর্মার ক্ষেত্রে যে পদক্ষেপ হয়েছে, এক্ষেত্রেও তার থেকেও যেন বেশি হয়। কারণ এক যাত্রায় পৃথক ফল হবে না। আমরা পুলিশের ভূমিকা আগামী ১০দিন ধরে দেখব। কিছু না হলেই পুলিশের বিরুদ্ধে নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগে কোর্টে যাব। কারণ সাংসদ যা বলেছেন তা মারাত্মকভাবে হিন্দু সনাতনীদের ধর্মীয় বিশ্বাসের উপর আঘাত।'
তামিল পরিচালক সীনা মণিমেকাইলার তথ্যচিত্রে কালীর পোস্টার ঘিরে গত কয়েকদিন থেকেই বিতর্ক তুঙ্গে। পরিচালককে গ্রেফতারের দাবি উঠেছে। উত্তরপ্রদেশ, দিল্লিতে এফআইআর-ও দায়ের হয়েছে। মঙ্গলবার এক অনুষ্ঠানে সেই বিতর্কের প্রেক্ষিতেই মুখ খুলেছিলেন তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র। তিনি বলেছিলেন, 'কেউ যদি ভুটান বা সিকিমে যান, দেখবেন তাঁরা সকালে পুজোর সময় দেবদেবীকে হুইস্কি দেন। কিন্তু, আপনি যদি উত্তরপ্রদেশে গিয়ে ভগবানকে প্রসাদ হিসেবে হুইস্কি দিচ্ছেন বলেন, তবে তাঁরা সেটাকে ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাত বলবেন।'
মহুয়ার এই বক্তব্যের ভিডিও-ই ভাইরাল হয়। নিন্দায় সরব হয় বিজেপি। এরপরই ওই রাতেই টুইট করে তৃণমূল। দলীয় সাংসদের মন্তব্য দলের নয় বলে দাবি করা হয়। টুইটে লেখা হয়েছে, 'দেবী কালী নিয়ে মহুয়া মৈত্রের করা মন্তব্য তাঁর ব্যক্তিগত এবং কোনও ভাবেই দল দ্বারা অনুমোদিত নয়৷ সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেস এমন মন্তব্যের তীব্র নিন্দা করে।'
দলের টুইটের পরই পাল্টা টুইটে তার জবাব দিয়েছেন মহুয়া। লিখেছেন, 'আপনাদের সকলের কাছে মিথ্যে বললেই আপনাকে ভালো হিন্দু বানাবে না। আমি কখনই কোনও ফিল্ম বা পোস্টারকে সমর্থন করিনি বা ধূমপান শব্দটি উল্লেখ করিনি। তারাপীঠে মা কালীকে ভোগ হিসেবে কী খাবার ও পানীয় দেওয়া হয়। জয় মা তারা।'
এই বিতর্ক বাড়তেই দলের টুইটার আনফলো করেছেন মহুয়া মৈত্র। তবে, তৃণমূল নেত্রীর অ্যাকাউন্টকে এখনও ফলো করছেন কৃষ্ণনগরের সাংসদ।