Suvendu Adhikari police Sandeshkhali sting video: সন্দেশখালি ইস্যুতে অভিযোগের তিরের দিকবদলকে কেন্দ্র করে আইপ্যাক, পুলিশ এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে একযোগে নিশানা করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। বসিরহাটের এসডিপিও ও বসিরহাট পুলিশ জেলার সুপারের দিকে নিশানা করে রাজ্যের বিরোধী দলনেতার অভিযোগ, সন্দেশখালিতে তৃণমূল কংগ্রেসকে সাহায্য করছে পুলিশ। শুভেন্দু অধিকারীর অভিযোগ, সন্দেশখালিতে তৃণমূল আর পুলিশ মিলেমিশে গিয়েছে। সেখানে রাজনৈতিক দল- তৃণমূল কংগ্রেস বলে আর কিছুই নেই। আর, এই পুলিশ-তৃণমূল জোটের বিরুদ্ধেই সন্দেশখালির সাধারণ মানুষ আন্দোলনে নেমেছেন, পথে নেমেছেন। আগামিদিনে সন্দেশখালির সাধারণ মানুষের আন্দোলন বড় রূপ নিতে পারে।
ইতিমধ্যেই সন্দেশখালি ইস্যুতে কয়েকটি ভিডিও প্রকাশ্যে এসেছে। যেখানে স্থানীয় বিজেপি নেতা গঙ্গাধর কয়ালকে বলতে শোনা গিয়েছে। স্থানীয় বিজেপি নেতার ওই বক্তব্য রীতিমতো অস্বস্তিতে ফেলেছে শুভেন্দু অধিকারী এবং তাঁর পদ্মশিবিরকে। এভাবে তাঁদের অস্বস্তিতে ফেলা হয়েছে রীতিমতো ষড়যন্ত্র করে, ছক কষে। এমনটাই অভিযোগ শুভেন্দু অধিকারীর। তিনি এনিয়ে সরাসরি নাম না করে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের দিকে আঙুল তুলেছেন। তাঁকে 'ভাইপো' বলে বক্তব্যে চিহ্নিত করেছেন। পাশাপাশি, শুভেন্দু অধিকারী অভিযোগের আঙুল তুলেছেন ভোটকুশলী সংস্থা 'আইপ্যাক' এবং পুলিশের দিকেও।
এই ব্যাপারে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বলেছেন, 'ওখানে (সন্দেশখালি) তৃণমূল বলে কিছু নেই। ওখানে তৃণমূল কংগ্রেস স্রেফ শূন্য। ওখানে তৃণমূল বলতে আসলে পুলিশ। আইপ্যাককে নিয়ে ভাইপোই গোটা ষড়যন্ত্রটা করেছে। এর সঙ্গে জড়িত বসিরহাটের এসডিপিও আমিনুল। আর, বসিরহাটের এসপি মেহেদি হাসান।' একইসঙ্গে সন্দেশখালির বিধায়ক তৃণমূলের সুকুমার মাহাতোর দিকেও আঙুল তুলে শুভেন্দু বলেছেন, 'সবাই জানেন যে সুকুমার মাহাতো চোর। ওর পিএ চাকরি দেওয়ার নাম করে কত টাকা তুলেছেন, তার তালিকা আমার কাছে আছে। লিখে রাখুন, শুধু সন্দেশখালি থেকেই একলক্ষ লিড দেব। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কপালে দুঃখ আছে। নির্বাচন কমিশনকে বলব, প্রধানমন্ত্রী সন্দেশখালির যে মা-বোনেদের হয়ে লড়াই করছেন, তাঁদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলায় কমিশন হস্তক্ষেপ করুক।'
সন্দেশখালিতে বিজেপির বিরুদ্ধে যে ভিডিওগুলো প্রকাশিত হয়েছে, তাতে বিজেপির মণ্ডল সভাপতি গঙ্গাধর কয়ালকে বলতে শোনা গিয়েছে, 'টাকার বিনিময়ে' স্থানীয় মহিলারা ধর্ষণের মিথ্যে অভিযোগ করেছেন। যার পিছনে ছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। পরের ভিডিওতে ভোট করানোর জন্য কত অস্ত্র এবং মদের জোগান দিতে হবে, সেই সম্পর্কে বলেছেন গঙ্গাধর। তৃতীয় ভিডিওতে এক পুরুষকণ্ঠকে বলতে শোনা গিয়েছে, তাঁর মাকে স্থানীয় বিজেপি নেত্রী পিয়ালি (দাস) থানায় যেতে বলেছিলেন। সেখানে ছিলেন জাতীয় মহিলা কমিশনের চেয়ারপার্সন রেখা শর্মা। তাঁর উপস্থিতিতে ওই ব্যক্তির মাকে দিয়ে সাদা কাগজে সই করানো হয়। সাত দিন পর তাঁরা জানতে পারেন, যে ধর্ষণের অভিযোগ তাঁদের দিয়ে করানো হয়েছে। সেই কারণে তাঁরা অভিযোগ প্রত্যাহার করতে চাইছেন। ওই মহিলার পরিবারের অভিযোগ, একথা জানতে পেরে বিজেপির প্রার্থী রেখা পাত্র তাঁদের বাড়ি গিয়েছিলেন। অভিযোগ প্রত্যাহার করলে বিজেপি কোনও দায়িত্ব নেবে না বলেই তাঁদের হুমকি দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন- তৃণমূলকর্মী খুনে ফুঁসছে চেঁচুড়ি! ‘দলের লোকেরাই বাবাকে মেরেছে’, CBI তদন্ত দাবি নিহতের ছেলের
এরপর সন্দেশখালি ইস্যুতে নির্বাচন কমিশনের কাছে জাতীয় মহিলা কমিশনের চেয়ারপার্সন রেখা শর্মার বিরুদ্ধে অভিযোগ জানিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। তৃণমূলের রাজ্যসভার দলনেতা ডেরেক ও'ব্রায়েনের অভিযোগ, জাতীয় মহিলা কমিশনের সদস্যরা বিজেপির সঙ্গে হাত মিলিয়ে তাঁদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করেছেন।