NIA-Suvendu Adhikari: NIA-এর পদক্ষেপের ভূয়সী প্রশংসায় রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। গত বছর রাম নবমীর (Ram Navami) মিছিলকে কেন্দ্র করে উত্তাল পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল রাজ্যের বেশ কিছু এলাকায়। ২০২৩-এর মার্চে হাওড়ার শিবপুর (Shibpur), হুগলির রিষড়া (Rishra), উত্তর দিনাজপুরের ডালখোলা (Dalkhola)-সহ কয়েকটি এলাকায় রাম নবমীর মিছিল বেরনোকে কেন্দ্র করে ধুন্ধুমার সংঘর্ষ বেঁধে যায়। যা নিয়ে সেই সময়ে উত্তাল পিরিস্থিতি হয়েছিল রাজ্য রাজনীতিতেও।
ওই ঘটনার পরপরই কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) দ্বারস্থ হয়ে নিরপেক্ষ তদন্ত চেয়েছিলেন নন্দীগ্রামের (Nandigram) BJP বিধায়ক। আদালতের হস্তক্ষেপে রাম নবমীর হিংসা-তদন্তের দায়িত্ব পায় NIA। তদন্তে নেমে এখনও পর্যন্ত ১৬ জনকে গ্রেফতার করেছে জাতীয় ওই সংস্থাটি।
NIA-এর এই তৎপরতারই প্রশংসায় X হ্যান্ডলে শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) লিখেছেন, "পশ্চিমবঙ্গে রাম নবমী মিছিলে সহিংসতা মামলার NIA তদন্তের ফলাফল পাওয়া যাচ্ছে। আমি অত্যন্ত সন্তুষ্ট। আমি এনআইএ তদন্তের জন্য কলকাতা হাইকোর্টে একটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেছিলাম। এরপরই এনআইএ তদন্তের অনুমতি দেয় হাইকোর্ট। রাজ্য সরকার এনআইএ তদন্ত রোধ করার জন্য সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) দ্বারস্থ হয়েছিল, তবে সুপ্রিম কোর্ট এনআইএ তদন্তে কোনও বিধিনিষেধ আরোপ করেনি।"
আরও পড়ুন- Sandeshkhali Row: সন্দেশখালি মামলায় ফের ধাক্কা রাজ্যের! এবার নিঃশর্ত জামিন সিপিএমের নিরাপদ সর্দারের
তিনি আরও লিখেছেন, "জাতীয় তদন্ত সংস্থার প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানা গিয়েছে যে ডালখোলায় রাম নবমী মিছিলের সহিংসতার ঘটনায় ১৬ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আমি আশাবাদী হাওড়ার শিবপুর, হুগলির শ্রীরামপুর, রিষড়া থেকেও রাম নবমী মিছিলে অংশগ্রহণকারী শান্তিপূর্ণ ভক্তদের উপর হামলাকারীদেরও গ্রেফতার করা হবে।"
উল্লেখ্য, ২০২৩ সালের মার্চ মাসে রাম নবমীর মিছিলকে কেন্দ্র রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে চূড়ান্ত বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি তৈরি হয়। কলকাতা লাগোয়া হাওড়ার শিবপুর থেকে শুরু করে হুগলির রিষড়া, শ্রীরামপুর-সহ উত্তর দিনাজপুরের ডালখোলা ছাড়াও আরও কয়েকটি এলাকায় রাম নবমীর মিছিল বেরনোকে কেন্দ্র করে অশান্তির আগুন জ্বলে ওঠে।
আরও পড়ুন- Nawsad Siddique Arrest: খাস কলকাতায় গ্রেফতার নওশাদ সিদ্দিকী! ক্ষোভে ফেটে পড়লেন ISF বিধায়ক
সম্পত্তি ভাঙচুর, বাড়ি-ঘরে আগুন, মারধর, লুঠপাটে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির বাতাবরণ নষ্টের চেষ্টা হয় বলে অভিযোগ। সেই ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাজ্য রাজনীতিও উত্তাল হয়। আদালতের নির্দেশে হিংসামূলক একাধিক সেই ঘটনার তদন্ত যায় এনআইএ-এর হাতে। তদন্তে নেমে এখনও পর্যন্ত ১৬ জনকে গ্রেফতার করতে পেরেছে জাতীয় এই তদন্ত সংস্থা।