কথা রাখলেন 'বিদ্যাসাগরের জেলার ছেলে' বলে বারবার নিজের পরিচয় দেওয়া রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। খোদ তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা ব্যানার্জির বিরুদ্ধেই বৃহস্পতিবার তিনি সিবিআইয়ের কাছে নালিশ ঠুকে দিলেন। শুভেন্দু অধিকারীর অভিযোগ, সারদা চিটফান্ড কেলেঙ্কারির যাবতীয় সুবিধাভোগী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনিই আসল দোষী। অতীতে বারবার সেই কথা বলেছেন বর্তমান তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। তাই সারদা কেলেঙ্কারিতে মমতা ব্যানার্জি আর কুণাল ঘোষ, দুই জনকেই জেরা করা উচিত।
সারদা কেলেঙ্কারিতে গ্রেফতার থাকাকালীন গণমাধ্যমের সামনে কুণাল ঘোষ বলেছিলেন, 'সারদা চিটফান্ড থেকে যদি কেউ সবচেয়ে বেশি সুবিধা নিয়ে থাকেন, তবে তিনি হলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।' কোর্ট চত্বরে পুলিশের গাড়ি থেকে বারবার কুণাল ঘোষকে সেসব প্রকাশ্যে গণমাধ্যমের সামনে বলতে শোনা গিয়েছে। বৃহস্পতিবার, সেই সব জানিয়েই সিবিআইয়ের ডিরেক্টরকে ইমেল করেছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। একাধিক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য, সারদা কেলেঙ্কারি সংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ নথিও অভিযোগের সঙ্গে সফট কপি হিসেবে সিবিআই ডিরেক্টরের কাছে কুণাল ঘোষ পাঠিয়েছেন।
নন্দীগ্রামের বিধায়ক সিবিআই ডিরেক্টরকে লিখেছেন, 'সারদা মামলায় কুণাল ঘোষ অন্যতম অভিযুক্ত। তিনি যখন হেফাজতে ছিলেন, সেই সময়ই জানিয়েছিলেন যে এই কেলেঙ্কারির পিছনে আসল দোষী হলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।' একইসঙ্গে শুভেন্দু অভিযোগ করেছেন, এই মামলায় আসল দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না-নেওয়ার জন্যই সাধারণ মানুষ তদন্তের প্রতি আস্থা হারিয়েছেন। কুণাল ঘোষ ও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে জেরা করা হলে কয়েক লক্ষ প্রতারিত মানুষ উপকৃত হবেন। তাঁর ন্যায় বিচার পাবেন বলেই মত রাজ্যের বিরোধী দলনেতার।
আরও পড়ুন- বাস উধাও, খাঁ খাঁ করছে স্ট্যান্ড, চরম বিপাকে যাত্রীরা
এর আগে একুশে জুলাইয়ের পরদিনই গ্রেফতার করা হয়েছিল তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে। শুক্রবারও তেমনই একটা একুশে জুলাই। ঠিক তার আগের দিনই সিবিআইকে এই তোলপাড় ফেলা ইমেল পাঠালেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। যার ফলে প্রশ্ন উঠছে, এবারও কি একুশে জুলাইয়ের পর রাজ্য রাজনীতিতে আলোড়ন ফেলে দেওয়া বড় কোনও ঘটনার সাক্ষী হবেন রাজ্যবাসী? যে প্রশ্নের উত্তর এখন কেবল সময়ই দিতে পারবে।