রানাঘাটে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাল্টা সভায় হিন্দুত্ব আবেঘগে ভাসলেন শুভেন্দু অধিকারী। কীভাবে সনাতনীরা বড়দিন ও ১লা জানুয়ারি পালন করবেন তা বলে দিলেন।
শুক্রবার রানাঘাটে সভা করেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। সেই সভার একেবারে শেষ দিকের ভাষণে বিজেপি কর্মীদের উদ্দেশে বার্তা দেন শুভেন্দু অধিকারী। যা আসলে হিন্দুদের আবেগে মোড়া ছিল। সভায় জনগণের উদ্দেশ্যে শুভেন্দু অধিকারী প্রশ্ন করেন, '২৫ ডিসেম্বর ও ১ জানুয়ারি কীভাবে উদযাপন করবেন?'
এরপরই উদযাপনের মন্ত্রও বাতলান নন্দীগ্রামের বিধায়ক। বলেন, '২৫ তারিখ বড়দিন। তা পরে পালন হবে। আগে সকাল বেলা তুলসী পুজো হবে। ওই দিন তুলসী পূজন দিবস। তার পর ১১টায় মন কি বাত। তা ছাড়া অটলবিহারী বাজপেয়ীজির জন্মদিন উপলক্ষে সেদিন সুশাসন দিবস হিসাবে পালিত হবে।'
এরপরেই শুভেন্দু একলাফে পৌঁছে যান ১ জানুয়ারি। বলেন, 'পয়লা জানুয়ারি? আমরা ইংরাজি নববর্ষ পরে পালন করব। আমরা প্রথমে শ্রী শ্রী রামকৃষ্ণদেবের কল্পতরু উৎসব পালন করব। তাই তো? চুক্তি হয়ে গেল? সত্য সনাতন ধর্মের জয়।'
রানাঘাট উদ্বাস্তু অধ্যুষিত মতুয়া গড় বলেই পরিচিত। গত লোকসভা রানাঘাটে পদ্ম ফুটেছিল। তবে, বিধানসভা উপনির্বাচনে রানাঘাট দক্ষিণ কেন্দ্রে জোড়-ফুল ফটে। এদিকে মুখে সিএএ কার্যক হবে বলে দাবি করলেও বাস্তবে তার কোনও প্রতিফলন নেই। ফলে আর ঝুঁকি নিয়ে রাজি নন বিজেপি নেতারা। সামনেই পঞ্চায়েত ভোট। ২৪য়ে লোকসভা। সেই সভা থেকে হিন্দুত্বের লাইনেই হাঁটলেন শুভেন্দু অধিকারী।