Suvendu Adhikari skips BJP Core Committee Meeting: বাংলায় লোকসভা নির্বাচনে BJP-র পারফরম্যান্স নিয়ে সমালোচনার মুখে রাজ্য বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। শনিবার কলকাতায় দলের কোর কমিটির বৈঠক এড়িয়ে গিয়েছেন তিনি। নন্দীগ্রামের বিধায়ক কোর কমিটির মিটিং এড়িয়ে ভোট পরবর্তী হিংসার 'শিকার' কোচবিহারের বিজেপি কর্মীদের সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন।
গতকাল কলকাতায় সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে শুভেন্দু অধিকারী বলেছিলেন, “আমি কোচবিহার যাচ্ছি। দলের প্রায় ২৭০ জন কর্মী আমাদের পার্টি অফিসে আশ্রয় নিয়েছেন। আমি তাঁদের সঙ্গে কথা বলব। সভা-সমাবেশের চেয়ে ভোট-পরবর্তী সহিংসতার শিকারদের পাশে দাঁড়ানো বেশি গুরুত্বপূর্ণ।”
উল্লেখ্য, এবারের লোকসভা নির্বাচনে রাজ্যের ৪২টি আসনের মধ্যে, BJP ১২টি জিতেছে। তৃণমূল কংগ্রেস জিতেছে ২৯টি আসনে এবং কংগ্রেসের ঝুলিতে গিয়েছে ১টি আসন। বিজেপির আসন সংখ্যা ২০১৯ সালের চেয়ে এবার বেশ খানিকটা কমেছে। ২০১৯-এ এরাজ্য থেকে বিজেপি ১৮টি আসন পেয়েছিল।
তবে গতকাল দলের কোর কমিটির বৈঠকে শুভেন্দু অধিকারী গরহাজির থাকলেও সেই বৈঠকে ছিলেন মেদিনীপুরের প্রাক্তন সাংসদ দিলীপ ঘোষ, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ও বনগাঁর সাংসদ শান্তনু ঠাকুর, রাজ্য বিজেপি প্রধান এবং বালুরঘাটের সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার, অগ্নিমিত্র পাল এবং লকেট চ্যাটার্জি-সহ রাজ্য বিজেপির শীর্ষ নেতারা।
আরও পড়ুন- Abhishek Banerjee: হঠাৎই হাসপাতালে ভর্তি হলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়! কেন?
লকেট চট্টোপাধ্যায় সেই বৈঠকের পর বলেন, “আমরা প্রাথমিকভাবে বিধানসভা উপনির্বাচনের সম্ভাব্য প্রার্থীদের নিয়ে আলোচনা করেছি। কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের কাছে নাম পাঠাব। তাঁরাই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন। দলীয় কর্মকাণ্ডে ব্যস্ত থাকায় বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন না শুভেন্দু অধিকারী। তাঁকে বৈঠকের বিবরণ সম্পর্কে জানানো হবে।”
লকেট আরও বলেছেন, "বিধানসভা কেন্দ্র প্রতি তিনটি নাম চূড়ান্ত করা হয়েছে। যা কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের কাছে পাঠানো হবে। আলোচনা বেশিরভাগই বিধানসভা উপনির্বাচনের প্রার্থী বাছাই নিয়ে হয়েছিল। বাংলায় লোকসভা ভোটের ফলাফল নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা অন্য দিনের জন্য রাখা আছে।”
আরও পড়ুন- Indian Railways: যাত্রী স্বার্থে আরও এক অভূতপূর্ব ‘উপহার’ রেলের! দুরন্ত তৎপরতার প্রশংসার ঝড়!
উল্লেখ্য, দিলীপ ঘোষ এবং বিজেপির বিষ্ণুপুরের সাংসদ সৌমিত্র খাঁ এবারের ভোটে বাংলায় দলের খারাপ ফলের পিছনে "সাংগঠনিক জ্ঞানের" অভাবকে দায়ী করেছেন। ঠিক তার পরেই শুবেন্দু অধিকারীর এই বৈঠক এড়ানোয় চর্চা বাড়ছে। গত ৫ জুন অর্থাৎ লোকসভা ভোটের ফল প্রকাশের পরের দিন সৌমিত্র খাঁ বলেছিলেন, "RSS এবং কেন্দ্রীয় BJP নেতৃত্বের প্রচেষ্টা না থাকলে, আমরা যে সংখ্যা জিতেছি তাও আমরা জিততে পারতাম না। কর্মজীবনে নির্বাচনী সাফল্যের অভিজ্ঞতা আছে এমন কোনও অভিজ্ঞ নেতা দলে নেই। নেতাদেরও সাংগঠনিক জ্ঞানের অভাব রয়েছে।”
অন্যদিকে দিলীপ ঘোষ ভোটে হেরে রাজ্য নেতৃত্বের দিকেই আঙুল তুলেছিলেন। তিনি বলেছিলেন, “কর্মীরা ঘর থেকে বের হতে পারছেন না। বুথ-স্তরের সংগঠনকে শক্তিশালী করতে এক বছরেরও বেশি সময় ধরে মেদিনীপুরে থেকেছি। আমি আমার নির্বাচনী এলাকার প্রতিটি গ্রামে গিয়েছি এবং সেখানে কেন্দ্রীয় সরকারের বিভিন্ন উদ্যোগ বাস্তবায়নে সহায়তা করেছি। মানুষ কাজ নিয়ে খুশি ছিল। তবে দল অন্য সিদ্ধান্ত নিয়েছে। কিন্তু আজ সেই সিদ্ধান্ত (তাঁকে মেদিনীপুর থেকে সরানোর) ভুল প্রমাণিত হয়েছে।"