অভিষেককে এবার পাল্টা শুভেন্দুর। নবান্ন অভিযানের শুরুতেই তাঁকে গ্রেফতার করা ইস্যুতে এবার কার্যত বোমা ফাটালেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। মহিলা পুলিশে দিয়ে তাঁকে ফাঁসানোর চক্রান্ত করা হয়েছিল বলে অভিযোগ নন্দীগ্রামের বিজেপি বিধায়কের। তবে তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্বের সেই চক্রান্তে তিনি পা দেননি বলেই দাবি শুভেন্দুর। একইসঙ্গে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে হুঁশিয়ারি দিয়ে শুভেন্দুর তোপ, ''আগামী দিনে আপনার পরিণতি তিহাড় জেল হবে। আপনাকেও ওমপ্রকাশ চৌটালা, মধু কোড়াদের সঙ্গে দাঁড়াতে হবে। আপনার ভবিষ্যৎ এটাই।''
নবান্ন অভিযানে ডিউটি করতে গিয়ে বিজেপি কর্মী-সমর্থকদের হাতে আক্রান্ত হন কলকাতা পুলিশের এসিপি দেবজিৎ চট্টোপাধ্যায়। এসএসকেএমে চিকিৎসাধীন রয়েছেন ওই পুলিশ অফিসার। বুধবার তাঁকে দেখতে গিয়েছিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। পরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বিজেপিকে তুলোধনা করার পাশাপাশি পুলিশের ভূয়সী প্রশংসা করেন অভিষেক।
তাঁর কথায়, ''পুলিশ অনেক সংযমের পরিচয় দিয়েছে। এরপরেই তিনি বলেন, ''আমি যদি ওখানে থাকতাম তাহলে মাথায় শুট করে দিতাম। গুলি চালিয়ে দিতাম।'' এছাড়াও মহিলা পুলিশের সঙ্গে শুভেন্দু অধিকারীর বাদানুবাদ নিয়েও তাঁকে কটাক্ষ করেছেন অভিষেক।
আরও পড়ুন- আজও দিনভর দফায়-দফায় বৃষ্টি, বিকেল থেকে আরও বাড়বে বর্ষণ
অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কেই এবার পাল্টা শুভেন্দু অধিকারীর। সাংবাদিক বৈঠকে বিরোধী দলনেতা বলেন, ''উনি একটা পরিকল্পনা করেছিলেন। আমাকে যে পরিকল্পবনা করে আটকানো হয়, তাঁর নেতৃত্বে ছিলেন এক লেডি অফিসার। তিনি আমাকে ধাক্কা মেরেছেন, চেপে ধরেছিলেন। ভাইপো ও জ্ঞানবন্ত সিংয়ের পরিকল্পনা ব্যর্থ হয়েছে। ৮ মহিলা অফিসারকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। আমি রিঅ্যাক্ট করলে জামিন অযোগ্যধারায় এফআইআর করা হতো। ওদের ফাঁদে পা দিইনি। এই ফাঁদে পা না দেওয়াটাই ওঁর গায়ে লেগেছে।''
আরও পড়ুন- আপনি কী ডেঙ্গু আক্রান্ত? বুঝবেন কী করে, কখনই বা যাবেন চিকিৎসকের কাছে! জানুন
এরপরেই অভিষেককে হুঁশিয়ারির সুরে বিরোধী দলনেতার তোপ, ''আগামী দিনে আপনার পরিণতিও তিহাড় জেল হবে। আপনাকেও ওমপ্রকাশ চৌটালা, মধু কোড়াদের সঙ্গে দাঁড়াতে হবে। আপনার ভবিষ্যৎ এটাই।''