রাজ্যে নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে আবারও সরব বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। শনিবার টুইটে রাজ্যের নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে সরকারকে দুষে ফের সরব নন্দীগ্রামের বিজেপি বিধায়ক। ''দুর্নীতির করে কেনা অবৈধ নিয়োগ মন্ত্রিসভা বাঁচানোর চেষ্টা করছে, এটা বিষ্ময়কর।'' টুইটে এভাবেই সরকরকে কার্যত ধুয়ে দিলেন শুভেন্দু। এমনকী রাজ্যে অতি জরুরি অবস্থা চলছে বলেও এদিন তোপ দেগেছেন বিরোধী দলনেতা।
শুক্রবার মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে তাঁর সৌজন্য সাক্ষাতের তাল কেটেছিল সেদিনই। শুক্রবারই বিধানসভার বাইরে দাঁড়িয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে ফের একবার স্বভাবসিদ্ধ ঢঙেই সরকারকে একহাত নিতে দেখা গিয়েছিল রাজ্যের বিরোধী দলনেতাকে। যদিও গতকাল শুভেন্দুর আক্রমণের ঝাঁঝ ছিল কম। যা নিয়ে ক্ষণিকের গুঞ্জনও তৈরি হয় রাজনৈতিক মহলে। শনিবার সকালে দিলীপ ঘোষ মমতা-শুভেন্দু সাক্ষাৎ নিয়ে ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য করেছেন। তবে শুভেন্দু যে তাঁর সরকার-বিরোধী অবস্থান থেকে একচুলও নড়ছেন না, আবারও তা এদিন স্পষ্ট করেছেন।
এদিন সকালে টুইটে কয়েকটি প্রতিলিপি পোস্ট করেছেন বিরোধী দলনেতা। ক্যাবিনেটে আলোচনার বিষয়বস্তু লেখা রয়েছে ওই প্রতিলিপিগুলিতে। রাজ্য সরকারি চাকরির পদ তৈরির কথা লেখা আছে প্রতিলিপিতে। যা নিয়েই এদিন ফের একবার শুভেন্দুর নিশানায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার।
আরও পড়ুন- ‘অনেকে কালীঘাটে প্রণাম করেন, উনি ওখানে করেছেন’, শুভেন্দুকে নিয়ে ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য দিলীপের
বিরোধী দলনেতা টুইটে এদিন লিখেছেন, ''দুর্নীতিবাজদের দ্বারা কেনা বেআইনি নিয়োগ মন্ত্রিসভা দ্বারা বাঁচানোর চেষ্টা সত্যিই বিস্ময়কর। এটা যদি সাংবিধানিক সংকট না হয় তাহলে আর কী হবে? তৃণমূল সরকারের হাতে বাংলা পচে যাচ্ছে। বাংলায় অতি জরুরি অবস্থা।''
শুক্রবারই রাজ্য বিধানসভা দেখেছিল বিরল ছবি। সংবিধান দিবসে বিধানসভায় রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে চায়ের আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শুভেন্দু এরপর দলের তিন বিধায়ককে নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘরে গিয়েছিলেন। সূত্রের খবর, মিনিট চারেকের সৌজন্য সাক্ষাতে মুখ্যমন্ত্রীকে প্রণামও করেছিলেন নন্দীগ্রামের বিজেপি বিধায়ক। পরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়েও মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে তাঁর সৌজন্য সাক্ষাৎ-পর্ব নিয়ে কথা বলেছেন বিরোধী দলনেতা। সেই সাক্ষাতের পরের দিনই পুরনো ঢঙেই রাজ্যকে আক্রমণের পথ ধরলেন শুভেন্দু।