/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2022/10/mamata-sourav-suvendu.jpg)
ইস্যু সৌরভ, মুখ্যমন্ত্রীকে নিশানা বিরোধী দলনেতার।
সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়কে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়েরবক্তব্য আসলে 'কুম্ভীরাশ্রু'। সাফ দাবি বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর। সোমবার মুখ্যমন্ত্রী প্রশ্ন করেন যে, 'কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহর ছেলে জয় শাহ যদি বোর্ডে থাকতে পারে, তা হলে সৌরভ থাকবে না কেন?' আইসিসি সভাপতি পদে যাতে সৌরভকে পাঠানো যায় তারও বন্দোবস্ত করতে প্রধানমন্ত্রীর মোদীর কাছে আহ্বান জানিয়েছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। এ বিষয়ে শুভেন্দুর কটাক্ষ, ' মুখ্যমন্ত্রী যদি সৌরভকে মর্যাদা দিতে চাইতেন তাহলে অনেক আগেই শাহরুখ খানকে সরিয়ে তাঁকে বাংলার ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডর করতেন।'
মুখ্যমন্ত্রীর আর্জি প্রধানমন্ত্রী কেন আমল দেবেন? তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। কলকাতা প্রেস ক্লাবের সাংবাদিক বৈঠক শুভেন্দু অধিকারী বলেন, 'মুখ্যমন্ত্রী বললেই প্রধানমন্ত্রী তাঁর কথা শুনবেন কেন? উনি তো প্রধানমন্ত্রীকে কিম্ভুতকিমাকার বলেন। বলেন, কোমরে দড়ি বেঁধে ঘোরাবেন।'
শুভেন্দুর দাবি, 'মুখ্যমন্ত্রী তাঁর দাদা-ভাইদের সব জায়গায় বসিয়ে রেখেছেন। কিন্তু, প্রধানমন্ত্রী খেলাধূলার ব্যাপারে নাকগলান না।'
সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়কে নিয়ে এ দিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন যে, 'অমিতবাবুর (জয় শাহ) ছেলে বোর্ডে রয়ে গেলেন। সে থাকতেই পারেন, ভাল কাজ করলে থাকবে, ভাল না হলে বলবই। ছোট ছেলে, কিন্তু সৌরভকে কেন অন্যায় ভাবে বাদ দেওয়া হল তা জানতে চাই। সৌরভ শুধু বাংলার নয়, দেশের গর্ব। তিনবছর বিসিসিআইয়ের প্রেসিডেন্ট ছিল। যেমন অসাধারণ ক্রিকেটার ছিল, তেমনই দক্ষ প্রশাসক ছিল। ওকে অন্যায় ভাবে বাদ দেওয়া হয়েছে। আমি অত্যন্ত ব্যথিত। সৌরভ অত্যন্ত জনপ্রিয় ব্যক্তিত্ব। ভারতীয় দলের অধিনায়ক ছিল ও। দেশকে অনেক কিছু দিয়েছে। ওকে কেন অন্যায় ভাবে বাদ দেওয়া হল।'
মুখ্যমন্ত্রীর আর্জি, 'আমি চাই, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বিষয়টি দেখুন। যাতে সৌরভ আইসিসি চেয়ারম্যানের পদে কনটেস্ট করতে পারে। ভারত থেকে একজন-দুজন আইসিসিতে কনটেস্ট করতে পারেন। সৌরভও করতে পারেন। এটা আমার বিনীত অনুরোধ। সৌরভ যাতে আইসিসি-তে কনটেস্ট করতে পারেন সে ব্যবস্থা করুন প্রধানমন্ত্রী। সৌরভ অন্যায় রাজনীতির শিকার হচ্ছে। সেটা মেনে নেওয়া যায় না।'
ক্রিকেটের স্বার্থে, দেশের স্বার্থে মহারাজের বিষয়টা ভেবে দেখা উচিত বলে মনে করেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর কথায়, 'এটাকে রাজনীতি হিসাবে দেখবেন না, বা প্রতিহিংসার রাজনীতি হিসাবে নয়।'