এ যাবত নানা ক্ষেত্রে রাজ্য প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন রাজ্যপাল। কড়া অবস্থানের বার্তা দিয়েছেন। সম্প্রতি পঞ্চায়েত ভোটের মনোনয়নে হিংসা বিধ্বস্ত ভাঙড়, ক্যানিংয়ে ছুটে গিয়েছেন সি ভি আনন্দ বোস। জগদীপ ধনকড়ের উত্তরসূরির এই ভূমিকার প্রশাংসা করেছে গেরুয়া বাহিনী। সন্তোষ প্রকাশ করেছেন খোদ বিরোদী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। কিন্তু, এসবের মধ্যেও মাঝে মধ্যেই কাঁটার মত বিঁধছে রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোসের বেশ কিছু সিদ্ধান্ত। যা নিয়ে এখনও রাজ্যপালের উপর থেকে ক্ষোভ কাটেনি বিরোধী দলনেতার। মঙ্গলবার রেড রোডে 'পশ্চিবঙ্গ দিবস'-এর অনুষ্ঠান শেষে সেই অসন্তোষই ঝরে পড়ল শুভেন্দুর মুখে। এমনকী পঞ্চায়েতের অশান্তির দায়ে যে রাজ্যপালও এড়াতে পারেন না তাও স্পষ্ট করে দিয়েছেন বিরোধী দলনেতা।
কী বলেছেন শুভেন্দু অধিকারী?
পঞ্চায়েত ভোটের শুরু থেকেই অশান্তি ছড়িয়েছে রাজ্যে। ঝরে গিয়েছে ৬টি প্রাণ। এ জন্য রাজ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব সিনহা ও মমতা সরকারে দায়ী করেছেন শুভেন্দু অধিকারী। তবে, তাঁর মতে এই অশান্তির দায় রাজ্যপালও এড়াতে পারবেন না।
কেন বিরোধী দলনেতার এই ভাবনা? শুভেন্দুর যুক্তি, 'রাজীব সিনহাকে রাজ্য নির্বাচন কমিশনার হিসাবে নিয়োগ নিয়ে আমার রাজ্যপালের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। রাজীব সিনহাকে নিয়োগের ফলেই এইসব অশান্তি হচ্ছে। এবার বুঝুন উনি কাকে বসিয়েছেন।' তবে হিংসা পরবর্তী রাজ্যপালের কড়া বার্তা ও ভূমিকার প্রশংসা করেছেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক।
বাংলায় রাজ্যপাল হিসেবে সি ভি আনন্দ বোস দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই তাঁর ভূমিকায় একাধিক বার অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। এ বার পঞ্চায়েত ভোটকে ঘিরে অশান্তি শুরু হওয়ার ঘটনা ঘিরেও আগেই রাজ্যপালের দিকে পরোক্ষে আঙুল তুলেছিলেন শুভেন্দু। তাঁর দাবি ছিল, রাজ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব সিনহার তত্ত্বাবধানে সুষ্ঠু ভোট এবং কমিশনের নিরপেক্ষ ভূমিকা আশা করা যায় না। এই সূত্রেই বিরোধী দলনেতার মন্তব্য ছিল, 'রাজীব সিনহার ব্যাপারে আরও খতিয়ে দেখা উচিত ছিল রাজ্যপালের। তাঁর কাছে আরও দু’টো নাম ছিল। ভাল করে খোঁজ নিয়ে দেখতে পারতেন। এখন অনেক কিছু বলছেন রাজ্যপাল। কিন্তু তাঁর কথা এরা শুনবে না!'
যদিও রাজ্যপাল বোস কিন্তু এক কথায় রাজীবের নামে সিলমোহর দেননি। নির্বাচন কমিশনার নিয়োগের ফাইল আটকে রেখে আরও নাম চেয়েছিলেন। শেষ পর্যন্ত অবশ্য রাজীবের নিয়োগেই সম্মতি দেন রাজ্যপাল।