এবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সুরেই সুর মেলালেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। যা ঘিরে রাজ্য রাজনীতিতে জোরদার চর্চা শুরু হয়ে গিয়েছে। তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যাওয়া ইস্তক মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে একের পর বিষোদগার ঝড়ে পড়েছে শুভেন্দুর গলায়। তবে এবার এই ইস্যুতে তৃণমূল সুপ্রিমোর পাশে বিরোধী দলনেতা।
মমতার তোলা কোন অভিযোগের পাশে দাঁড়ালেন শুভেন্দু?
ইউনেস্কোর হেরিটেজ তকমার পর নতুন ফলক বসেছে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে। সেই ফলেকর কোথাও নাম নেই গুরুদেব রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের। অথচ আচার্য হিসেবে ফলকে জ্বলজ্বল করছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নাম, ফলকে নাম বর্তমান উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীরও। ফলকে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নাম না রাখায় বিশ্বভারতীর বিরুদ্ধে ক্ষোভে ফেটে পড়েন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধানের মতোই এবিষয়ে ক্ষুব্ধ বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীও। তিনিও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ক্ষোভের পাশে দাঁড়িয়েই বলেন, "যদি উপাচার্য এটা করে থাকেন, সংশোধন করুন। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে নিয়ে কোনও কম্প্রোমাইজ নেই। নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু, স্বামী বিবেকানন্দ এবং রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে নিয়ে বাঙালিদের একটা ইমোশন আছে। আমি ফলক দেখছিলাম। উনি কবিগুরুর অনুপ্রেরণায় আমরা এটা পেলাম, তাঁর সৃষ্টিতে এটা উল্লেখ করতেই পারেন। এটা নিয়ে জেদাজেদির কী আছে! বিষয়টা হল রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে নিয়ে। উপাচার্যর অত ইগোর কী আছে! না করলে সংশোধন করে নিন। এটা তৃণমূল বলেছে বলে আমি বলব না তা তো হতে পারে না। রবি ঠাকুরে সঙ্গে গোটা ভারতবাসীর ও বাঙালিদের একটা আলাদা সেন্টিমেন্ট আছে। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে বাদ দিয়ে কিছু হতে পারে না বিশ্বভারতীতে। তাই তাঁর অত জেদ ধরার কারণ নেই।"
আরও পড়ুন- ভুয়ো সংস্থার মাথায় বাড়ির পরিচারক, কেষ্টর দেখানো পথেই বালু
যদিও ফলক নিয়ে বিতর্ক বাড়তে থাকায় এবার সিদ্ধান্ত বদলের ভাবনা বিশ্বভারতীরও। শীঘ্রই ওই নামের ফলক বদল করা হতে পারে বলেও সূত্রের খবর। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে ইতিমধ্যেই শান্তিনিকেতনে বিক্ষোভ দেখিয়েছে তৃণমূল। রীতিমতো মঞ্চ বেঁধে কবিগুরুর ছবি বুকে নিয়ে প্রতিবাদ দেখিয়েছেন তৃণমূলের কর্মীরা। এবার তৃণমূলের অভিযোগের পাশে দাঁড়িয়ে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষের উপর চাপ বাড়ালেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীও।