জগদ্ধাত্রী পুজোর মঞ্চে ত্রিশূল হাতে। ফের বিতর্কের কেন্দ্রবিন্দুতে শুভেন্দু অধিকারী। সোমবার সন্ধ্যায় দুর্গাপুরের এসবি মোড়ে জগদ্ধাত্রী পুজোর মঞ্চ থেকে দুর্গাপুরে পুরনিগম এবং পঞ্চায়েত ভোট নিয়ে শাসক দলকে নিশানা করেন বিরোধী দলনেতা।
তিনি বলেন, "পঞ্চায়েত ভোটে ত্রিশূল নয়, জনগণই অস্ত্র হবে।" তিনি বলেন, "আমরা যখন পুরুলিয়া থেকে দুর্গাপুরে আসছিলাম তখন বেশ কিছু লোক কালো পতাকা দেখাচ্ছিল। আমি এগুলোকে ভয় পাই না। কারণ কর্মচারিরা এইগুলো করবে। কর্মচারিদের মালিককে আমরা নন্দীগ্রামে হারিয়েছি। আমরা এসব কর্মচারিদের ভয় পাই না।" জগদ্ধাত্রী পুজোর মঞ্চ থেকে শাসক দলকে এভাবেই আক্রমণে শুভেন্দু অধিকারীর।
এদিকে, মঙ্গলবার থেকে ফের রাজ্যজুড়ে শুরু হতে চলেছে দুয়ারে সরকার শিবির। ঠিক তার আগেই জাতীয়পুরস্কারপ্রাপ্ত জনপ্রিয় পশ্চিমবঙ্গ সরকারের এই উদ্যোগ ঘিরেই বিতর্ক দানা বেঁধেছে। ‘দুয়ারে সরকার’ শিবিরকে ‘প্রহসন’ বলে কটাক্ষ করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। কেন তাঁর এই প্রতিবাদ? জবাবে যুক্তির ডালি সাজিয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী।
এক প্রেস বিবৃতিতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মস্তিষ্কপ্রসূত ‘দুয়ারে সরকার’ শিবিরের নানা দিক নিয়ে সরব হয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী। রাজ্যের দাবি, রাজ্যজুড়ে কয়েক হাজার শিবিরের মাধ্যমে সরকার মানুষের দুয়ারে গিয়ে পৌঁছায়। ওই শিবির থেকেই রাজ্যবাসী সরকারি সব প্রকল্পের সুবিধার জন্য নাম নথিভুক্ত করতে পারেন। কিন্তু শুভেন্দুর যুক্তি, ‘দুয়ারে সরকার নামকরণ হল প্রহসন মাত্র। সরকার দুয়ারে আসছে না, মানুষকে ক্যাম্পের বাইরে লাইনে দাঁড় করিয়ে দিচ্ছে ঘন্টার পর ঘন্টা। প্রলোভন দেখিয়ে মানুষকে বিড়ম্বনায় ফেলা হচ্ছে।’
আরও পড়ুন জাতীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত ‘দুয়ারে সরকার’ প্রকল্প আসলে ‘প্রহসন’, কটাক্ষ শুভেন্দুর, কোন কোন যুক্তিতে?
তাঁর মতে, স্থানীয় প্রশাসনের দফতরগুলি থেকেই এই সুবিধা প্রদান করা যেত। তাহলে বছরের নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত সরকারি সুবিধার জন্য মানুষকে অপেক্ষা করতে হত না। বিরোধী দলনেতার দাবি, স্থানীয় প্রশাসনের দফতরগুলি দুর্নীতির আখড়া বলেই সেখান থেকে নাগরিক পরিষেবা দেওয়া সম্ভব নয়।