রবিবার প্রশাসন আটকেছিল। চাইলেও শুভেন্দু অধিকারী উলুবেড়িয়ার মনসাতলার দলীয় দফতরে যেতে পারেননি। কিন্তু, ২৪ ঘন্টা না কাটতেই ভগ্নপ্রায় বিজেপি দফতর দেখলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। কথা বললেন বিজেপির স্থানীয় জেলা সভাপতির সঙ্গেও। শেষে শুভেন্দু অধিকারীর হুঁশিয়ারি, 'আমাকে আটকাতে পারল না, গণতান্ত্রিকভাবে এর বদলা নেব।'
হিংসা ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কায় শনিবার থেকে হাওড়ার বিভিন্ন এলাকায় জারি করা হয় ১৪৪ ধারা। তার আগে ভাঙা হয়েছিল উলুবেড়িয়ার মনসাতলার বিজেপি দফতর। শনিবার যা আগেই ঘুরে দেখে এসেছেন বিজেপির সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষ। এরপর ওই দিনই সেখানে যেতে চেয়েও গ্রেফতার হন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার।
এই পরিস্থিতিতে রবিবার হাওড়ায় যাওয়ার কথা ছিল বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর। অবশ্য তার আগেই শুভেন্দুকে কর্মসূচি বাতিলের নোটিস দেয় কাঁথি থানার পুলিশ। হাওড়া গ্রামীণ এলাকায় তাঁর প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি হয়। তবে উলুবেড়িয়া যেতে অনড় ছিলেন বিরোধী দলনেতা। শুভেন্দুর সঙ্গে পুলিশের তুমুল বিতর্ক হয়। শেষ পর্যন্ত হাওড়া না গিয়ে কলকাতায় আসেন বিরোধী দলনেতা। এরপর ফের ফিরে যায় কাঁথিতে।
আরও পড়ুন- আরও বেকায়দায় নূপুর, চরম চাপ কলকাতা পুলিশের
সোমবার শুভেন্দু অধিকারী কলকাতায় আসার পথে মনসাতলার আন্ডারপাশের উপর তাঁর গাড়ি থামান। সেখান থেকেই ক্ষতিগ্রস্ত বিজেপি দফতর দেখেন। সেই সময় পদ্ম পতাকা হাতে জেলা সভাপতি শ্রী অরুণ পাল চৌধুরী এবং কর্মীরা তাঁকে স্বাগত জানান। শুভেন্দু আন্ডারপাশের উপর থেকে কথা বলেন তাঁদের সঙ্গে। দলবীয় ওই দফতর পুনঃনির্মাণ এবং গঙ্গা জল দিয়ে নিজের হাতে পরিশুদ্ধ করণের প্রতিশ্রুতিও দেন। এরপরই হুঁশিয়ারির সুরে বিরোধী দলনেতা বলেন, 'আমাকে আটকাতে পারবে না, গতান্ত্রিকভাবে এর মোকাবিলা করব।'