অনুমতি নেই। এই অভিযোগে শুক্রবার যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে ভারতী জনতা যুব মোর্চার মঞ্চ খুলে দিয়েছে পুলিশ। পুলিশি বাধার মুখে রাস্তায় বসেই বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন যুব মোর্চার কর্মীরা। পুলিশের বিরুদ্ধে গুন্ডামির অভিযোগ তুলেছে যুব মোর্চা। পুলিশি বাধার প্রতিবাদে যাদবপুর থানার সমানে বিক্ষোভ দেখায় যুব মোর্চা। টুইটে মমতা প্রশাসন ও পুলিশকে বড় হুঁশিয়ারি দিয়েছেন বিরোদী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।
কী বলেছেন শুভেন্দু অধিকারী?
'মাত্র কয়েক বছর আগে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি সেল গঠন করেছিল অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদ বা এবিভিপি। ২০২০ সালে প্রথমবারের মতো সমস্ত বিভাগ থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে তারা পোক্ত ভিত স্থাপণ করে বেশ কয়েকটি বিভাগে প্রতিষ্ঠিত ছাত্র সংগঠনকে পিছনে ফেলে সবাইকে অবাক করেছিল। সিনিয়র এবং প্রাক্তন ছাত্র/বহিরাগতদের র্যাগিং এবং যৌন হয়রানির শিকার হয়ে দুর্ভাগ্যজনকভাবে একজন ছাত্রের মৃত্যুর পর ভারতীয় জনতা যুব মোর্চা তাদের আন্দোলন জোরদার করেছে। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠিত ছাত্র সংগঠন, প্রশাসন, পুলিশ এবং শিক্ষা দফতর ছাত্রের মৃত্যুর সঙ্গে জড়িত। প্রত্যেকেই ভারতীয় জনতা যুব মোর্চার আন্দোলনের ফলে ক্ষুব্ধ। আসলে ভারতীয় যুব মোর্চা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস থেকে জাতীয়তাবাদ ও সমাজবিরোধী উপাদানগুলিকে নির্মূল করতে বদ্ধপরিকর। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই তথাকথিত প্রতিদ্বন্দ্বী ছাত্রদের গোষ্ঠীগুলির (I.N.D.I.A) জোটের সমস্ত অংশ, যারা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে অরাজক, অনিয়ন্ত্রিত এবং অন্যায় সুবিধা ভোগ করে নির্বাচনের আগে বিজেপিকে প্রচারণা দেয়। শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভকারী আন্দোলনকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে মমতা পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এতে বোঝা যায় তারা ভীত। আমি মমতা পুলিশ এবং প্রশাসনকে মনে করিয়ে দিতে চাই, আমরা ভারত জুড়ে টুকরে-টুকরে গ্যাং-কে পরাজিত করব এবং শীঘ্রই বা পরে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়েও আমরা তা করব।'