Suvendu Adhikari: বিধানসভার অলিন্দে শারীরিক নিগ্রহের অভিযোগ। অভিযোগকারী স্বয়ং বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। পূর্বস্থলীয় তৃণমূল বিধায়ক তপন চট্টোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে ভয়ঙ্কর অভিযোগ নন্দীগ্রামের বিধায়কের। বিরোধী দলনেতার দাবি, বিধানসভার অলিন্দে তাঁর সঙ্গে উত্তপ্ত বাক্যবিনিময় হয় পূর্বস্থলীর বিধায়কের। সেইসময়ই তাঁকে শারীরিক নিগ্রহ করেন বিধায়ক বলে তাঁর অভিযোগ। শুভেন্দুর দাবি, বিধানসভার ভিতরে ও বাইরে নিগ্রহ করা হয়েছে তাঁকে।
বিরোধী দলনেতা বলেন, “আমি বিধানসভায় আক্রান্ত হয়েছি। কোনও বিজেপি বিধায়ক আক্রান্ত হলে, তার দায় কার, তার দায় স্পিকারের।” এদিনের ঘটনাকে কেন্দ্র করে বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়কেও চিঠি পাঠিয়েছেন শুভেন্দু। চিঠিতে তাঁর অভিযোগ, পূর্বস্থলীর বিধায়ক তপন চট্টোপাধ্যায় তাঁকে শারীরিক নিগ্রহ করেছেন। কিছু কুকথাও বিধায়ক ব্যবহার করেছেন বলে অভিযোগ জানিয়েছেন তিনি। বিধানসভার অভ্যন্তরে বিরোধী বিধায়কদের নিরাপত্তা নিয়েও ওই চিঠিতে প্রশ্ন তুলেছেন শুভেন্দু।
প্রসঙ্গত, এদিন বিধানসভায় বাংলায় নারী নির্যাতন নিয়ে আলোচনার দাবি জানিয়েছিল বিজেপির পরিষদীয় দল। কিন্তু স্পিকার তা মঞ্জুর করেননি। তাতে ওয়াকআউট করেন বিজেপির বিধায়করা। শুভেন্দুর দাবি, সেইসময় তাঁকে নিগ্রহ করেন পূর্বস্থলীর বিধায়ক।
সূত্রের খবর, পূর্বস্থলীতে গিয়ে বিধায়ককে আক্রমণ করেছিলেন বিরোধী দলনেতা। তাঁর মেয়ের মাধ্যমিক পরীক্ষায় নম্বরের প্রসঙ্গ টেনে সরকারি চাকরি কীসের ভিত্তিতে পেলেন তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন শুভেন্দু। সেই নিয়েই এদিন বিধানসভায় শুভেন্দুকে প্রশ্ন করেন তপন। তার পরই শুরু হয় বচসা।
এই প্রসঙ্গে তৃণমূল বিধায়ক জানিয়েছেন, শুভেন্দু কেন ওই কথাগুলি বলেছিলেন, তা তিনি জানতে চান। তিনি এই নিয়ে থানায় ও বিধানসভার স্পিকারের কাছেও অভিযোগ জানিয়েছেন বলে দাবি তৃণমূল বিধায়কের। তপন চট্টোপাধ্যায় শুভেন্দুকে শারীরিক নিগ্রহের অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে বলেছেন, 'আরও তো অনেক লোক ছিল। আমি তাঁর গায়ে হাত দিয়েছি, এমন কোনও ছবি আছে কি! আমি শুধু তাঁকে মিথ্যাবাদী বলেছি। তাই এত রাগ ওঁর।' দুজনের বচসার ভিডিও পোস্ট করেছেন বিজেপির মুখ্য সচেতক শঙ্কর ঘোষ।
আরও পড়ুন বাজেটে কলকাতা মেট্রোর জন্য বিরাট বরাদ্দ, কত টাকা বাড়াল কেন্দ্র?