নিমন্ত্রন থাকা সত্ত্বেও রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোসের হাতেখড়ি অনুষ্ঠানে গেলেন না রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। কেন তাঁর এই পদক্ষেপ? টুইট করে নিজেই সে কথা জানিয়েছেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক। কড়া সুরে আক্রমণ শানিয়েছেন মমতা সরকারকে। তবে হাজির রয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু সহ বহু বিদগ্ধ ব্যক্তিত্বরা।
টুইটে কী জানিয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী?
বাংলা সংস্কৃতির সঙ্গে রাজ্যপালের একাত্ম হওয়ার আগ্রহ ও ইচ্ছেকে স্বাগত জানিয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী। তবে বিরোধী দলনেতার অভিযোগ, রাজ্যপালের ইচ্ছেকে রাজনৈতিক স্বার্থে ব্যাবহারে মরিয়া রাজ্য সরকার। রাজ্যপাল প্রিন্সিপাল সেক্রেটারি নন্দিনী চক্রবর্তীকে নিশানা করেছেন তিনি। তাঁর দাবি, ও আইএএস নবান্নের দূত হিসাবে মুখ্যমন্ত্রীর দূরভিসন্ধিকে চরিতার্থ করার চেষ্টা করছেন।
টুইটে শুভেন্দুর দাবি, টাকার বিনিময়ে শিক্ষকের চাকরি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী সহ শিক্ষা দফতরের সঙ্গে জড়িতরা অনেকেই জেলে। তখন রাজ্যপালের হাতেখড়ির অনুষ্ঠান দেখিয়ে শিক্ষায় দুর্নীতিগুলি ঢাকা দেওয়ার চেষ্টা চলছে।
এ দিনের হাতেখড়ি অনুষ্ঠান রাজ্যপাল পদ ও রাজভবনের ভাবমূর্তিকে উজ্জ্বল করবে না বলেই দাবি শুভেন্দুর।
মুখ্যমন্ত্রীকে নিশানা করেছেন বিরোধী দলনেতা। শুভেন্দু অধিকারীর টুইটে উল্লেখ, অতীতে এই রাজ্য সরকারই বিশ্ববিদ্যালয়গুলির আচার্য পদ থেকে রাজ্যপালকে সরাতে বিল পাস করিয়েছে, আচার্য পদে বসতে আগ্রহী মুখ্যমন্ত্রী।
শুভেন্দু অধিকারীর দাবি, আজ যিনি বাংলা ভাষায় হাতেখড়ি নিচ্ছেন, তাঁকে বার্তা দেওয়ার জন্য উদগ্রীব থাকবেন প্রধান অতিথি। জনসাধারণের করের টাকায় এমন হাস্যকর পরিস্থিতির সাক্ষী না হতে চাওয়ায় হাতেখড়ি অনুষ্ঠানে তিনি যাচ্ছেন না।