বেআইনি বাজি কারখানা বন্ধে কড়া পদক্ষেপের বার্তা দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। কিন্তু তারপরও রাজ্যের বিভিন্নপ্রান্তে বেআইনি বাজি কারখানার রমরমা। কেন এই অবস্থা? মারাত্মক অভিযোগ করলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তাঁর দাবি, 'স্থানীয়রা বলছে, প্রত্যেক দোকান থেকেই রথীন ঘোষ প্রতি মাসে ৫০ হাজার টাকা করে নিত। মুর্শিদাবাদ, মালদা সহ বিভিন্ন স্থানে বোমা যেত। প্রাক্তন মন্ত্রী, বিধায়ককে জাকির হোসেনকে যে স্প্লিন্টার দিয়ে হত্যার চেষ্টা করা হয়েছিল, সেটাও এখান থেকে গিয়েছিল।'
Advertisment
পাশাপাশি শুভেন্দু অধিকারীর দাবি, 'দত্তপুকুরে বাজি কারখানার নামে আরডিএক্স তৈরি এবং মজুত করার কাজ চলছিল৷ সেই কারণেই বিস্ফোরণ এত ভয়াবহ আকার নিয়েছে৷' মুখ্যমন্ত্রীর ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলে তিনি বলেন, 'গত কয়েক মাসে রাজ্যে একশোর বেশি মানুষ মারা গিয়েছেন৷ মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন, রাজ্যে বেআইনি বাজি কারখানা বন্ধ করা হবে৷ তারপরেও একাধিক জায়গায় বিস্ফোরণ ঘটেছে৷ ওখানে আরডিএক্স ব্যবহার করা হয়েছে৷ রাজ্যে আইনশৃঙ্খলা বলে কিছু নেই৷ নীলগঞ্জ কাণ্ডে কী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে, মুখ্যমন্ত্রী সেই রিপোর্ট কেন বিধানসভায় পেশ করলেন না? রাজ্যপাল ভোর পাঁচটায় বন্দে ভারত এক্সপ্রেস ধরে মালদহ চলে যেতে পারেন৷ বিমানবন্দর থেকে রাতের অন্ধকারে দত্তপুকুর চলে যেতে পারেন৷ মুখ্যমন্ত্রী কী করছেন?'
বিরোধী দলনেতা সরকারের পদত্যাগের দাবি তোলেন। বলেন, 'আমরা মুখ্যমন্ত্রী ও সরকারের পদত্যাগ দাবি করছি। এনআইএ তদন্ত শুরু করুক। মুখ্যমন্ত্রী যে বাজি কারখানা সরিয়ে মানুষের জীবন ঠিক করা । সরকারের স্টেটমেন্ট চাই।'
শুভেন্দু বলেন, 'এনআইএ তদন্তেও রাজ্য সরকারের তরফে বাধা মিলতে পারে। তিনি দাবি করেন, '২০২১ সালের পর থেকে খেজুরি, ভগবানপুর, কালীয়াচক, রামনবমী মিছিলে শিবপুর, রিষড়া এবং ডালখোলার ঘটনায় প্রশাসন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সুপ্রিম কোর্ট পর্যন্ত গিয়েছেন এনআইএ তদন্ত আটকানোর জন্য।'
পুলিশ-তৃণমূল বিধায়কের তোলাবাজির কারণেই দত্তপুকুরে বিস্ফোরণ, মারাত্মক অভিযোগ শুভেন্দুর
দত্তপুকুরে আরডিএক্স মজুত ছিল বলে দাবি বিরোধী দলনেতার।
Follow Us
বেআইনি বাজি কারখানা বন্ধে কড়া পদক্ষেপের বার্তা দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। কিন্তু তারপরও রাজ্যের বিভিন্নপ্রান্তে বেআইনি বাজি কারখানার রমরমা। কেন এই অবস্থা? মারাত্মক অভিযোগ করলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তাঁর দাবি, 'স্থানীয়রা বলছে, প্রত্যেক দোকান থেকেই রথীন ঘোষ প্রতি মাসে ৫০ হাজার টাকা করে নিত। মুর্শিদাবাদ, মালদা সহ বিভিন্ন স্থানে বোমা যেত। প্রাক্তন মন্ত্রী, বিধায়ককে জাকির হোসেনকে যে স্প্লিন্টার দিয়ে হত্যার চেষ্টা করা হয়েছিল, সেটাও এখান থেকে গিয়েছিল।'
পাশাপাশি শুভেন্দু অধিকারীর দাবি, 'দত্তপুকুরে বাজি কারখানার নামে আরডিএক্স তৈরি এবং মজুত করার কাজ চলছিল৷ সেই কারণেই বিস্ফোরণ এত ভয়াবহ আকার নিয়েছে৷' মুখ্যমন্ত্রীর ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলে তিনি বলেন, 'গত কয়েক মাসে রাজ্যে একশোর বেশি মানুষ মারা গিয়েছেন৷ মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন, রাজ্যে বেআইনি বাজি কারখানা বন্ধ করা হবে৷ তারপরেও একাধিক জায়গায় বিস্ফোরণ ঘটেছে৷ ওখানে আরডিএক্স ব্যবহার করা হয়েছে৷ রাজ্যে আইনশৃঙ্খলা বলে কিছু নেই৷ নীলগঞ্জ কাণ্ডে কী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে, মুখ্যমন্ত্রী সেই রিপোর্ট কেন বিধানসভায় পেশ করলেন না? রাজ্যপাল ভোর পাঁচটায় বন্দে ভারত এক্সপ্রেস ধরে মালদহ চলে যেতে পারেন৷ বিমানবন্দর থেকে রাতের অন্ধকারে দত্তপুকুর চলে যেতে পারেন৷ মুখ্যমন্ত্রী কী করছেন?'
বিরোধী দলনেতা সরকারের পদত্যাগের দাবি তোলেন। বলেন, 'আমরা মুখ্যমন্ত্রী ও সরকারের পদত্যাগ দাবি করছি। এনআইএ তদন্ত শুরু করুক। মুখ্যমন্ত্রী যে বাজি কারখানা সরিয়ে মানুষের জীবন ঠিক করা । সরকারের স্টেটমেন্ট চাই।'
শুভেন্দু বলেন, 'এনআইএ তদন্তেও রাজ্য সরকারের তরফে বাধা মিলতে পারে। তিনি দাবি করেন, '২০২১ সালের পর থেকে খেজুরি, ভগবানপুর, কালীয়াচক, রামনবমী মিছিলে শিবপুর, রিষড়া এবং ডালখোলার ঘটনায় প্রশাসন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সুপ্রিম কোর্ট পর্যন্ত গিয়েছেন এনআইএ তদন্ত আটকানোর জন্য।'