Suvendu Adhikary বিএসএফ-র এক্তিয়ার পুনর্বিন্যাস বিতর্কে উত্তপ্ত রাজনীতি। বঙ্গ বিধানসভা কেন্দ্রের সিদ্ধান্তের বিরোধিতায় প্রস্তাব পাস করেছে। তল্লাশির নামে মহিলাদের প্রতি বিএসএফ-র অভব্যতা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন তৃণমূলের এক বিধায়ক। বিএসএফ-র আচরণ নিয়ে সরব হয়েছেন শাসক দলের অপর এক বিধায়ক।
বৃহস্পতিবার আবার সীমান্তে বিএসএফ-র ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন অপর্ণা সেন। এই আবহেই বৃহস্পতিবার নিউ টাউনের বিএসএফ ছাউনি পরিদর্শনে যান শুভেন্দু অধিকারী। কেন্দ্রীয় এই আধা সামরিক বাহিনীর পাশে দাঁড়িয়ে এদিন বিএসএফ-র বিরুদ্ধে চলা ভাষা সন্ত্রাসের প্রতিবাদ করেন বিরোধী দলনেতা। এমনকি, তৃণমূল বিধায়কদের মন্তব্যের সমালোচনায় এদিন সরব হয়েছিলেন নন্দীগ্রামের বিজেপি বিধায়ক। ‘ওদের হয়ে আমরা বাহিনীর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করে গেলাম’, এভাবেই খোঁচা দেন শুভেন্দু অধিকারী। এদিন নিউটাউনে বিএসএফ-র ছাউনিতে বিএসএফ জওয়ানদের পদ্ম ফুল এবং মিষ্টি খাইয়ে বিজেপি বিধায়করা জওয়ানদের সংবর্ধনা ও ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন। তাঁর এই কর্মসূচির প্রসঙ্গ ফেসবুকেও পোস্ট করেছেন বিরোধী দলনেতা।
তিনি আরও জানান, সীমান্ত এলাকায় অনেক জনকল্যাণমূলক কাজ করে এই বাহিনী। দুঃস্থদের বস্ত্র বিতরণ থেকে শীতবস্ত্র প্রদান, নিম্নবিত্ত পরিবারের শিশুদের শিক্ষার দায়িত্ব। এই কাজগুলো ওরা দায়িত্ব নিয়ে করে থাকে। আমরা বিজেপি বিধায়করা এসেছি ওদের অভিনন্দন জানাতে। বিএসএফ-র এক্তিয়ারের এলাকা বেড়েছে। এই সিদ্ধান্তে সীমান্ত এলাকায় অনেক বেআইনি কাজ বন্ধ হবে। মাদক, চোরাচালান, সন্ত্রাসবাদী ঢুকে বসে থাকা ইত্যাদি ইত্যাদি।
এমনকি, রাজ্যজুড়ে চলা ৫০টি গরুর হাট অবিলম্বে বন্ধের পক্ষে সুর চড়ান শুভেন্দু অধিকারী। বিএসএফ-র কাজটা ঠিক কী? এই প্রশ্নের জবাবে শুভেন্দু বলেন, ‘বিএসএফ তিনটি কাজ করে, তল্লাশি, বেআইনি পাচার আটকানো এবং অনুপ্রবেশ রোখা। সীমান্তরক্ষী বাহিনীর এলাকার এক্তিয়ার বাড়লেও, ক্ষমতা একই থাকছে। বাকি আইনশৃঙ্খলা রক্ষার দায়িত্ব রাজ্য পুলিশের। সেই ক্ষমতায় হস্তক্ষেপ করা হয়নি। শুধু মিথ্যা প্রচার চলছে।‘
অভিনেত্রী-পরিচালক অপর্ণা সেনকেও এদিন ‘ভাতাজীবী’ বলে আক্রমণ করেন বিরোধী দলনেতা। তাঁর দাবি, ‘প্রেসক্লাবে বসে বা বিধানসভায় বসে বাহিনীর বিরুদ্ধে যে ভাষা সন্ত্রাস চালানো হচ্ছে তাঁর প্রমাণ দেখাক।‘
এদিন প্রেস ক্লাবে ঠিক কী বলেন অপর্ণা সেন? যার জন্য শুভেন্দুর তোপের মুখে পড়তে হয় অভিনেত্রী-পরিচালককে। অপর্ণা এদিন বলেন, “মিলিটারিদের যতটা ক্ষমতা দেওয়া উচিত, তার থেকেও বেশি দেওয়া হচ্ছে।” তবে এখানেই থেমে থাকেননি বর্ষীয়াণ অভিনেত্রী-পরিচালক। তিনি এও জানান যে, “ছিটমহলের বাসিন্দাদের কথা ভাবলেই শিউরে উঠি। এমনিতেই তাঁদের অবস্থা খুব খারাপ। তার ওপর বিএসএফদের ক্ষমতা বাড়ালে তা আরও দুর্বিষহ হয়ে উঠবে।” সেই প্রেক্ষিতে মমতা সরকারকে সীমান্তবাসীদের কথা ভেবে দেখার অনুরাধও জানান তিনি। তাঁরা যেন নিজেদের মতো করে ব্যবসা, চাষ-আবাদ করতে পারেন, সেদিকেও নজর দেওয়ার আর্জি জানান অপর্ণা সেন।
কিন্তু সেই মন্তব্য পেশের মাঝেই সীমান্তরক্ষীদের ক্ষেত্রে ধর্ষক, খুনী-র মতো শব্দ প্রয়োগের অভিযোগ ওthe অপর্ণার বিরুদ্ধে। যার জেরে এবার আইনি বিপাকে জড়িয়েছেন নায়িকা। যদিও এই বিষয়ে এখনও কোনওরকম মুখ খোলেননি অপর্ণা।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন