দিল্লিতে মুখ্যমন্ত্রী। সেই সময় বৈঠক করছেন প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে। এ দিকে সেই সময়ই নবান্নে অবাক কাণ্ড। মমতার অনুপস্থিতিতে রাজ্যে প্রশাসনের সদর দফতরে পৌঁছে যান বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী! সঙ্গে ছিলেন চন্দনা বাউড়ি, শঙ্কর ঘোষ সহ বেশ কয়েকজন বিরোধী বিধায়ক। কেন তাঁর এই হঠাৎ আগমন? শুভেন্দুর দাবি, কেন্দ্রীয় সামাজিক উন্নয়ন প্রকল্পের সুবিধা থেকে রাজ্য সরকার বাংলার মানুষকে বঞ্চিত করে রেখেছে। তা জানাতেই এ দিন বিজেপি বিধায়কদের এক প্রতিনিধি দল নবান্নে এসেছেন।
দিল্লিতে মমতার পাল্টা নবান্নে শুভেন্দু
এ দিন নবান্নে পৌঁছে প্রথমে ভিজিটরস রুমে বসেন শুভেন্দু অধিকারী সহ বিজেপির আরও তিন বিধায়ক। তাঁদের হাতে ছিল পোস্টার। সেখানে লেখা ‘বঞ্চিত বাংলার জনগণ’। তাতে রবেশ কিছু খতিয়ানের উল্লেখ ছিল। ১০০ দিনের কাজ, প্রধানমন্ত্রী গ্রাম সড়ক যোজনা, প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা সংক্রান্ত তথ্য লেখা ছিল সেখানে।
আরও পড়ুন : < উপরাষ্ট্রপতি ধনখড়কে ভেঙাচ্ছেন কল্যাণ! চরম বিতর্কের মাঝেই কাকে নিশানা মমতার? >
শুভেন্দু-মুখ্যসচিব কথা
নবান্নে মুখ্যসচিবের সঙ্গে কথা বলেছেন শুভেন্দু সহ বিজেপি বিধায়কদের প্রতিনিধি দল। পরে নবান্নের বাইরে বেরিয়ে এসে বিরোধী দলনেতা বলেছেন, 'আমরা আজকে না জানিয়ে আধ ঘণ্টা আগে ফোন করে এসেছি। মুখ্যমন্ত্রী সাংসদদের নিয়ে গিয়েছেন বঞ্চনার কথা বলতে। অথচ পশ্চিমবঙ্গের মানুষকে বঞ্চিত করছে রাজ্য সরকার। এটাই বলতে এসেছি। আমাদের বিরোধী দলের বিজেপি সাংসদ বিধায়কদের প্রশাসনিক সভাতে ডাকা হয় না। আমাদের সমর্থক ভোটার হলে শৌচালয়, আবাস থেকে বঞ্চিত করা হয়। বাংলার জনগণকে বঞ্চিত করে, কেন্দ্রের টাকা নয়ছয় করে, বাংলায় বিরোধীদের কণ্ঠরোধ করে দিল্লিতে নাটক করতে গিয়েছেন। পাল্টা আমরা যুক্তি, তর্ক, তথ্য দিয়ে বলে গেলাম।'
আরও পড়ুন: < নকল করাটাও একটা ‘শিল্প’, ধনখড়কে ‘ভেঙানোয়’ আজব সাফাই কল্যানের >
মমতাকে হুঁশিয়ারি শুভেন্দুর
সবসময়ই ১৪৪ ধারা জারি থাকে নবান্নে। আগে থেকে বললে তাঁরা ঢুকতে পারতেন না বলে এ দিন আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন বিরোধী দলনেতা। শুভেন্দু অধিকারীর কথায়, 'আমরা আইন মেনে চলা দল। আমি-সহ চারজন বিধায়ক এসেছি আজ। ৫ জনের সংখ্যা পার করিনি। নবান্নতে এসে আমরা বলে গেলাম লড়াই হবে। এক ইঞ্চিও জায়গা আপনাকে ছাড়ব না। আপনাকে তাড়া করে বেড়াব আমরা।'
পাশাপাশি সম্প্রতি উত্তরবঙ্গের চারটি প্রশাসনিক বৈঠকের প্রসঙ্গ টেনে শুভেন্দুর অভিযোগ, সরকারি বৈঠকে ডাকা হচ্ছে না বিরোধী দলের বিধায়কদের। তবে রাজ্য প্রশাসনের তরফে এখনও এ নিয়ে কেউ মুখ খোলেনি।