রেশন বণ্টন দুর্নীতি মামলার পরতে পরতে লুকিয়ে রহস্য। এখন ২৫টি মোবাইল ফোনেই নজর ইডির, এমনই খবর সূত্রের। ওই ফোনগুলি জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক, বাকিবুর রহমান ও তাঁদের ঘনিষ্ঠদের। ওই মোবাইল ফোনগুলিতেই পাহাড় প্রমাণ দুর্নীতি সম্পর্কে তোলপাড় ফেলা তথ্য লুকিয়ে থাকতে পারে বলে সন্দেহ ইডির। তবে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী এই মোবাইল ফোন নিয়েই এবার আরও চাঞ্চল্যকর অভিযোগ সামনে এনেছেন, যা ঘিরে নতুন করে জোরদার চর্চা শুরু। এছাড়াও রেশন দুর্নীতিতে ধৃত বাকিবুর রহমানের সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের যোগ নিয়েও মারাত্মক অভিযোগ সামনে এনেছেন বিরোধী দলনেতা।
কী বলেছেন শুভেন্দু অধিকারী?
"জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক সব সময় যে মোবাইল ব্যবহার করতেন সেটা মণীশের আর ওঁর যে ব্যক্তিগত নিরাপত্তারক্ষী ছিলেন পশ্চিমবঙ্গ সরকারের, ওঁর পদবী হচ্ছে রাও। তাঁর মোবাইল ফোন ব্যবহার করতেন। যদি এই ২৫টার মধ্যে ওই দুটো ফোন না থেকে থাকে তবে আমি তদন্তকারী সংস্থাকে অনুরোধ করব এই দুটো ফোনও খতিয়ে দেখা হোক। এই ফোন দুটির হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাট ও ডিটেলস বের করতে পারলে দেখবেন মমতা ব্যানার্জির সঙ্গে সারাদিনে কতবার তিনি কথা বলতেন। তিনি যে দুর্নীতিগুলি করেছেন সেটা মমতা ব্যানার্জির নির্দেশেই করেছেন।"
শুভেন্দুর আরও অভিযোগ, "মমতা ব্যানার্জি ও তাঁর পার্টি গরিবের চাল, আটা, গম ধান কেনার একটা বড় অংশের টাকা মেরেছে। কেন্দ্র থেকে আসা ভালো চাল বদলে দেওয়া হয়েছে। উত্তর ২৪ পরগনা ও নদিয়ায় কেন্দ্রের এফসিআইয়ের যে চাল আসতো তার ৭০ শতাংশ বাকিবুর রাহমানকে দিত। বাকিবুর তার ৫০ শতাংশ খোলা বাজারে বিক্রি করত।"
এরই পাশাপাশি রেশন দুর্নীতিতে ধৃত বাকিবুর রাহমানের সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের যোগ নিয়েও এক্স হ্যান্ডেলে একটি পোস্ট করেছেন শুভেন্দু। সেই পোস্টে তিনি লিখেছেন, "মুখ্যমন্ত্রী কি দয়া করে স্পষ্ট করবেন যে তিনি দ্বিবেদীর আনা "রেশন চোর" বাকিবুরের কাছ থেকে তাঁর কোভিড তহবিলের জন্য একটি চেক গ্রহণ করেছিলেন কিনা।"
আরও পড়ুন- মুখ্যমন্ত্রীর অভিযোগকেই মান্যতা! কোন ইস্যুতে এতদিনে ফের মমতার পাশে শুভেন্দু?
উল্লেখ্য, রেশন বণ্টন দুর্নীতি মামলার তদন্তে নেমে ইতিমধ্যেই একাধিক চাঞ্চল্যকর তথ্য হাতে এসেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারীদের। প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক ও তাঁর ঘনিষ্ঠ ধৃত বাকিবুর রহমানের মোবাইল ফোন ছাড়াও তাঁদের পরিচতিদের মোট ২৫টি মোবাইল ফোনকেই এখন ইডির স্ক্যানারে, এমনই খবর সূত্রের। তদন্তকারীদের অনুমান, এই ফোনগুলির ডিটেলস খতিয়ে দেখলে বিরাট দুর্নীতির শিকড়ে পৌঁছনো অনেকটাই সহজ হতে পারে।