নজিরবিহীন অভিযোগ তুললেন বিরোধী দলনেতা। নবান্নের নির্দেশে একাধিক ভোট গণনা কেন্দ্রে জয়ী বিজেপি প্রার্থীদের শংসাপত্র দেওয়া হচ্ছে না বলে অভিযোগ শুভেন্দু অধিকারীর। তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কেন্দ্র ডায়মন্ড হারবারে পুলিশের বিরুদ্ধেই গণনাকেন্দ্রে 'ছাপ্পা ভোট' দেওয়ার অভিযোগ শুভেন্দুর।
ত্রিস্তর পঞ্চায়েত নির্বাচনে জোড়াফুলের জয়-জয়কার। যদিও ২০১৮-এর চেয়ে এবার বিরোধীদের ফল ভালো হয়েছে। গোটা নির্বাচন পর্বে শাসকদল তৃণমূলের বিরুদ্ধে বেনজির সন্ত্রাসের অভিযোগ তুলেছে বিরোধীরা। একইসঙ্গে প্রশাসনের একাংশকেও দায়ী করেছে বিজেপি। ভোট গণনার দিনেও ভয়ঙ্কর অভিযোগ আনলেন শুভেন্দু অধিকারী। বিজেপির জয়ী প্রার্থীদের শংসাপত্র আটকে রাখার অভিযোগ নন্দীগ্রামের বিজেপি বিধায়কের।
আরও পড়ুন- মারকাটারি সাফল্য তৃণমূলের! তাও কোন আক্ষেপ কুঁড়ে কুঁড়ে খাচ্ছে মদনকে?
কী বললেন শুভেন্দু অধিকারী?
এদিন শুভেন্দু অধিকারী বলেন, 'জেতার পরে সার্টিফিকেট দেয়নি। রেজাল্ট পাল্টে দেওয়া হয়েছে। এসপি, ডিএসপি-রা নবান্নের নির্দেশে কাজ করছেন। সাঁকরাইলে বিজেপির জয়ী প্রার্থীদের সার্টিফিকেট দেয়নি। মেরে তাড়িয়ে দিয়েছে। রানাঘাটে চারটে পঞ্চায়েতে জিতেছিল বিজেপি। তিনটের সার্টিফিকেট দিয়ে একটার আটকে রেখেছে। এ জিনিস হতে পারে না। গণতন্ত্রের ভয়ঙ্কর অবস্থা পশ্চিমবঙ্গের।'
আরও পড়ুন- তৃণমূলের বিজয়রথ থমকে এল এখানেই! ধুঁয়াধার ছকে বাম-ফলায় কাত জোড়াফুল!
এরই পাশাপাশি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সংসদীয় এলাকা ডায়মন্ড হারবারে গণনাকেন্দ্রেও ছাপ্পাভোট হয়েছে বলে অভিযোগ শুভেন্দু অধিকারীর। তাঁর অভিযোগ, 'ডায়মন্ড হারবারের এসপি, ডিএসপি, এসডিপিও সবাই মিলেছে। এতগুলো ব্যালচবক্স পুকুরে ফেলেছে তার রি-পোল হয়নি! পুলিশ ওই বক্সগুলো ডিসিআরসি-তে নিয়ে গিয়ে আবার ছাপ মারিয়ে সিল লাগিয়ে এই হরিদাস পালের জন্য করেছে। যাতে রিপোল না হয়।'
আরও পড়ুন- টানটান লড়াইয়ে দমফাটা উত্তেজনা! টসেই ঘুরল ভাগ্যের চাকা! শেষ হাসি কার?