আবারও বিরোধী দলনেতার নিশানায় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। শনিবার সিবিআই অফিসে সাড়ে ৯ ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদককে। কুন্তল ঘোষের চিঠি মামলায় টানা জিজ্ঞাসাবাদের মুখে পড়তে হয়েছে ডায়মন্ড হারবারের তৃণমূল সাংসদকে। অভিষেককে এই ম্যারাথন জিজ্ঞাসাবাদ ইস্যুতে মুখ খুলে বেনজির কটাক্ষ ছুঁড়ে দিয়েছেন বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী। অভিষেককে বিঁধে শুভেন্দুর টিপ্পনি, ''লাগল কেমন ৯ ঘণ্টা। ভাইপো, কেমন লাগল?'
নিয়োগ দুর্নীতিতে মামলায় এই প্রথম কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার জিজ্ঞাসাবাদের মুখোমুখি হলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। শনিবার কলকাতায় নিজাম প্যালেসের দফতরে দিনভর জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে অভিষেককে। ৯ ঘণ্টা ৪০ মিনিট পর নিজাম প্যালেস থেকে বেরোন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তৃণমূলের শীর্ষ নেতাকে সিবিআইয়ের এই ম্যারাথন জিজ্ঞাসাবাদ প্রসঙ্গে নজিরবিহীন কটাক্ষ করেছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।
অভিষেককে নিশানা করে শুভেন্দু বলেন, 'ভাইপো, কেমন লাগল?' আমার ভাইকেও ১০ ঘণ্টা করে ৪ বার ডেকেছে। লোকের ক্ষতি করলে নিজেরও কেমন ক্ষতি হয়। দেখ কেমন লাগে।' এখানেই থামেননি শুভেন্দু। অভিষেককে কার্যত ধুয়ে দিয়ে তিনি আরও বলেন, 'কুন্তল, শান্তনুদের সৃষ্টিকর্তা হলেন উনি। ২০১১-এর আগে রাজনীতিতে ছিলেন না। সেই সময় তৃণমূলের যুব সংগঠনের সভাপতি ছিলাম আমি। আমাকে সরাতে না পেরে যুবা তৃণমূল তৈরি করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ভাইপোর হাত ধরেই এই সব চোর-ডাকাতরা তৈরি হয়েছিল। তাঁর নবজেয়ারে পথ তিহাড়ের দিকেই এগিয়ে চলেছে।'
আরও পড়ুন- ‘নির্যাস শূন্য’ জিজ্ঞাসাবাদ শেষে বললেন অভিষেক, ভয়ঙ্কর নিশানা শুভেন্দুকে
এদিকে, শনিবার রাতে ম্যারাথন জিজ্ঞাসাবাদ শেষে নিজাম প্যালেস থেকে বেরিয়ে সাংবাদিকদের সামনে মুখ খুলেছিলেন অভিষেক। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ নিটফল 'শূন্য' বলেও মন্তব্য করেছিলেন তৃণমূল নেতা। অভিষেক শনিবার রাতে বলেন, '‘জিজ্ঞাসাবাদের নির্যাস শূন্য। যেটা আমি গতকালই বলেছিলাম। আমি বলেছিলাম, আমার বিরুদ্ধে প্রমাণ থাকলে জনসমক্ষে আনা হোক। জিজ্ঞাসাবাদের প্রয়োজন নেই। প্রমাণ থাকলে ফাঁসির মঞ্চে উঠব। আমারও সময় নষ্ট, তদন্তকারীদের সময় নষ্ট।’
এরই পাশাপাশি নাম না করে শনিবার শুভেন্দু অধিকারীকে আক্রমণ শানিয়েছিলেন তৃণমূল সাংসদ। তিনি বলেছিলেন, ‘আমায় ওখানে জিজ্ঞেস করেছিল, এঁদের চেনেন। বিশ্বাস করবেন না, ৯০ শতাংশের বাড়ি পূর্ব মেদিনীপুর আর মুর্শিদাবাদ। সেখানে দলের তরফে কে দায়িত্বে ছিলেন? তাঁকে জিজ্ঞাসবাদ করা হবে না কেন? আমাদের থেকে যা জানতে চাওয়া হয়, দিয়েছি। অধিকাংশ প্রশ্নই বোগাস।’ তৃণমূলে থাকাকালীন পূর্ব মেদিনীপুর ও মুর্শিদাবাদের দলের সংগঠনের দায়িত্বে ছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। তাঁদের নিশানা করলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক।