এবার বিরোধী দলনতো শুভেন্দু অধিকারীর নিশানায় রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। নির্বাচন সংক্রান্ত নালিশ শুনে তার প্রতিকারে উদ্যোগী হয়েছিলেন রাজ্যপাল। রাজভবনে পিস রুম খুলেছিলেন তিনি। শুধু তাই নয়, ভোট পর্বে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে ছুটে গিয়েছেন তিনি। তবে তাঁর এই উদ্যোগে খুশি নন নন্দীগ্রামের বিজেপি বিধায়ক।
রাজ্যপালকে নজিরবিহীন আক্রমণ বিরোধী দলনেতার। এবারের পঞ্চায়েত ভোটে মাত্রাছাড়া সন্ত্রাস দেখেছে গোটা রাজ্য। মুড়ি-মুড়কির মতো মানুষ খুন হয়েছেন। পঞ্চায়েত ভোটের নির্ঘণ্ট ঘোষণার পর থেকেই রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে সীমাহীন সন্ত্রাস হয়েছে। সন্ত্রাস রুখতে তৎপরতা নিয়েছিলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। তবে তৎপরতা নিলেও রোখা যায়নি হিংসা। রাজ্যপালের ভূমিকা নিয়ে তুমুল সমালোচনা করেছে শাসকদল তৃণমূল। রাজ্যপাল বিজেপির এজেন্ট হয়ে কাজ করছেন বলে অভিযোগ তুলেছে জোড়াফুল।
আরও পড়ুন- বিরাট ধাক্কা অভিষেকের, কুন্তলের চিঠি মামলায় বড় নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের
তবে রাজ্য বিজেপির প্রধান মুখ তথা বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীও এবার রাজ্যপালের ভূমিকা নিয়ে কটাক্ষ ছুঁড়ে দিলেন। শুভেন্দুর কথায়, 'রাজ্যপাল পিস রুম খুলেছেন। লক্ষ-লক্ষ অভিযোগ করেছে লোকজন। সেই অভিযোগের নিষ্পত্তি হয়নি। রাজ্যপাল পিস রুম খুলেছেন, কোনও ফল পাইনি। মানুষ ওঁর কাছ থেকে ফল চায়।'
আরও পড়ুন- ‘মাস্টারস্ট্রোক’ তৃণমূলের, রাজ্যসভায় নতুন মুখ হিসেবে কাদের আনল তৃণমূল?
উল্লেখ্য, পঞ্চায়েত নির্বাচনকে কেন্দ্র করে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে অশান্তি ছড়িয়েছে। রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস রাজভবনে পিস রুম খুলে পরিস্থিতির দিকে নজর রেখেছিলেন। পিস রুমের হেল্প লাইন নম্বরে ফোন করে বা ইমেল করে অভিযোগ জানিয়েছেন বহু মানুষ। শুধু তাই নয়।
নির্বাচনকে কেন্দ্র করে যেখানেই হিংসার খবর পেয়েছেন রাজ্যপাল নিজে ছুটে গিয়েছেন। সংঘর্ষে নিহতদের কয়েকজনের পরিবারের সঙ্গে দেখাও করেছেন তিনি, দিয়েছেন পাশে থাকার আশ্বাসও। এমনকী ভোটের দিনেও রাজ্যপাল ঘুরে বেরিয়েছেন বিভিন্ন জায়গায়। যদিও তাঁর এই সফরের পরেও হিংসার বহর এতটুকুও কমেনি।
আরও পড়ুন- ‘তৃণমূল মানেই গুন্ডা, মার খেলে ঠিকই আছে’, বেনজির আক্রমণ দিলীপের
এদিকে, সোমবার রাজ্যের ৬৯৬টি বুথে পুনর্নির্বাচন হচ্ছে। শুভেন্দু অধিকারীর দাবি, শনিবার ১৮ হাজার বুথে ছাপ্পা ভোট দেওয়া হয়েছে। এপ্রসঙ্গে রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে দুষে বিরোধী দলনেতা বলেন, 'আমাদের দেওয়া তালিকা অনুযায়ী পুনর্নির্বাচন হয়নি। যেসব বুথে ছাপ্পা ভোট হয়েছে সেখানকার সিসি ক্যামেরার মুখ ঘুরিয়ে দেওয়া হয়েছে। ৬ হাজার বুথের তালিকা দিয়েছিলাম, মান্যতা দেওয়া হয়নি।'